Friday 31 August 2018

গোয়াইনঘাট উপজেলার মাতুরতল এলাকার মনরতল গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে দেহ ব্যবসা!

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: সিলেটের গোয়াইনঘাট থানাধীন মনরতল গ্রামে জনৈক মইন উদ্দিনের স্ত্রী সফা বেগম ও যুবতী মেয়েরা দীর্ঘদিন যাবত দেহ ব্যবসা করছে বলে ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবৈধ দেহ ব্যবসার বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদে এগিয়ে এসেছে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা, ভয় ভীতি প্রদর্শন করে যাচ্ছে এই চক্র। তার চক্রের পরামর্শ অনুযায়ী সফা বেগম বেআইনী বাড়ি ছাড়া করার চেষ্টার অভিযোগ এনে গত ২৭ আগস্ট গোয়াইনঘাট থানায় উপজেরা ভাইস চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরী (নং-১০৯০) করেন। সাধারন ডায়েরী করার পর থেকে আইনের বেড়াজালে আটকা পড়ে যান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহ আলম স্বপন-সহ সংশ্লিষ্টরা। এ নিয়ে এলাকায় শুরু হয় তোলপাড়।
জানা গেছে, গোয়াইনঘাট উপজেলার মাতুরতল এলাকার মনরতল গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে দেহ ব্যবসা করে যাচ্ছে জনৈক মইন উদ্দিনের স্ত্রী, মেয়ে শারমিন বেগম (২৬) ও সেবিন বেগম (২২)। এদিকে, দেহ ব্যবসা বন্ধে এলাকার অনেকে চেষ্টা করে ব্যার্থ হওয়ায় দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে অসামাজিক কার্যক্রম। অন্যদিকে এলাকার যুব সমাজ এই চক্রের কবলে পড়ে টাকা-পয়সা খোয়াচ্ছে। নির্ভর যোগ্য সূত্র ও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে , থানা পুলিশের সাথে দেহ ব্যবসায়ি চক্রের সখ্যতা থাকায় রহস্য জনক কারণে এই অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে না।
সম্প্রতি মইন উদ্দিনের বাড়িতে একটি সালিশ বৈঠক বসে এবং ওই বৈঠকে মইন উদ্দিন ও তার স্ত্রী সফা বেগম বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার সিন্ধান্ত নেন। তাদের নেওয়া সিন্ধান্ত অনুযায়ী ক্ষেতের জমিসহ বাড়ির মূল্য ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা নির্ধারন করা হয়। এতে সফা বেগম ও তার পরিবার সন্তুষ্ট হয় এবং তখন জনৈক ফখর উদ্দিনের কাছে এই দামে যায়গা জমি বিক্রি করা হয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক ফখর উদ্দিনের কাছ থেকে বাড়ির মূল্যের অগ্রীম ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করে সফা বেগমকে দেয়া হয়। বাকি টাকা গ্রহণ করে ফখর উদ্দিনকে বাড়ির দখল সমঝে দিয়ে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর সফা বেগম বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে বলে। সালিশে নেতৃত্ব দেন গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ আলম স্বপন। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ও মেম্বার আব্দুল মুমিন মুন্সি-সহ মাতব্বরগন। সফা বেগম তার অনুসারীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে শুরু করেন। বাড়ি ছেড়ে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে পরামর্শ নিতে থাকেন। কিন্তু সে আমাদের কথায় কোন কর্নপাত করেনি। আমাদের ছেলে-মেয়েরাও এলাকায় চলাফেরা করতে পারছেনা। তিনি এ ব্যাপারে পুলিশের উর্ধ্বতন মহলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল জলিল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, একজন মহিলা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অনৈতিকতার অভিযোগ এনে কমমূল্যে বাড়ি বিক্রি করে চলে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ন অন্যায় ও বেআইনী কাজ। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়াইনঘাট থানার এসআই পিযুষ কান্তি দাস জানান, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আদালতের অনুমতিক্রমে বিবাদীগনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

৯ মাসের শিশুকে গলাটিপে হত্যা করে ডোবায় ফেলে দেন বাবা!

পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়ায় উপজেলায় জান্নাতি নামের ৯ মাসের এক শিশুকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার বাবার বিরুদ্ধে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের দিলপাশার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, হত্যার পর মেয়ের লাশ বাড়ির পাশের একটি ডোবায় ফেলে দেন ওমর ফারুক (২৮) নামের ওই ব্যক্তি।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দিলপাশার গ্রামের আকলিমা ও তার স্বামী ওমর ফারুকের মধ্যে দীর্ঘদিন কলহ চলছিল। তারই জের ধরে বৃহস্পতিবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আকলিমা জান্নাতিকে বাড়িতে রেখে পাশের বাড়িতে যান।

এ সময় ওমর ফারুক জন্নাতিকে গলাটিপে হত্যা করে বাড়ির পাশের ডেবার কচুরিপানার মধ্যে লাশ ফেলে দেন। কিছুসময় পরে আকলিমা বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে না দেখে কান্নকাটি শুরু করেন। এক পর্যায়ে বাড়ির পাশের লোকজন জান্নাতিকে খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির পাশের ডেবার কচুরিপানার মধ্য থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।

এসময় স্থানীয়রা ওমর ফারুককে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভাঙ্গুড়া থানার পুলিশ জান্নাতির লাশ ও ওমর ফারুককে থানায় নিয়ে যায়।

চলচ্চিত্রের অশ্লীল বিলবোর্ড নিষিদ্ধ করলো পাকিস্তান

আবদুল্লাহ তামিম: পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের নতুন তথ্যমন্ত্রী ফায়জুল হক চৌহান পাঞ্জাবে অশ্লীল চলচ্চিত্রের পোস্টার লাগানো নিষিদ্ধ করেছেন।

এ নিষিদ্ধের ঘটনায় নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শাসনামলে কট্টরপন্থীদের প্রভাব বাড়তে পারে বলে দেশটির বিরোধীরা মন্তব্য করেছেন।

পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনয়ন দেয় তার দল তেহরিক-ই-ইনসাফ। এর পরই ফায়জুল হক চৌহানকে নিয়ে বেশ কিছু বিতর্ক তৈরি হয়েছে বলে জানা যায়।

২০১১ সালে পাঞ্জাবের গভর্নরকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেয়া হয়েছিল। চৌহান সেই হত্যাকারীর কবর জিয়ারতে গিয়েছিলেন। এমনকি পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নার্গিসকে নিয়েও সমালোচনামূলক মন্তব্য করেন তিনি।

লাহোরের এক জনসভায় চৌহান বলেন, যদি প্রেক্ষাগৃহে কোনো অশ্লীল চলচ্চিত্রের বিলবোর্ড পাওয়া যায়, তবে সেটিকে ঘটনাস্থলেই জরিমানা গুনতে হবে। যদি কোনো প্রেক্ষাগৃহ এ নির্দেশ অমান্য করে, তবে সেটি বন্ধ করে দেয়া হবে।

এ সময় তিনি প্রশ্ন করেন, অর্ধনগ্ন নারীর ছবি ছাপা ও বিলবোর্ডে রাখার মধ্যে এমনকি মানবতা আছে?

চৌহানের এ সিদ্ধান্তকে সমালোচনা করে পাকিস্তানের বামপন্থী ও মানবাধিকারকর্মী অনেকেই।

সূত্র: রয়টার্স

জৈন্তাপুরে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট _ প্রেমিক প্রেমিকা কে থানায় পেরন।

 জৈন্তাপুর প্রতিনিধিঃ  জৈন্তাপুর উপজেলার বিগ্রেডিয়ার মজুমদার উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী মজুমদার পড়া গ্রামের নজমুল হোসেন এর মেয়ে রিনা অাক্তার (১৬) গত ২৮আগস্ট সুনামগঞ্জ জেলার সোনাপুর গ্রামের নুরুল অামিনের ছেলে ইমন অাহমদ (১৯)  এর হাত ধরে সুনামগঞ্জে পালিয়ে যায়।

রিনা বেগম পরিবার গোপন সূত্র খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ থেকে বিয়ে দেয়ার কথা বলে কৌশলে উদ্ধার করে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর কাছে হাজির করেন।

উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাগজ পত্র দেখে অপ্রাপ্তবয়সী প্রেমিক প্রেমিকা কে জৈন্তাপুর মডেল থানায় হস্তান্তর করেন, এবং বলেন এখনো তাদের বিয়ে বয়স হয়নি বাল্য বিবাহ সম্পুর্ণ বন্ধ এ বিষয় সকলের সতর্ক থাকতে হবে।

Thursday 30 August 2018

সোনার বাংলা বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ জাফরুল ইসলাম_প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানালেন।

গত ৭/০৮/২০১৮ ইং তারিখ সোমবার জকিগঞ্জ অনলাইন নিউজ ২৪ ডটকমসহ বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যম ও প্রিন্ট পত্রিকায় ‘‘টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন বরাবরে অভিযোগ’’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন জকিগঞ্জস্থ সোনার বাংলা বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি পরিচয়দানকারী মোঃ জাফরুল ইসলাম। প্রতিবাদপত্রটি হুবুহু তুলে ধরা হল।
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
‘‘গত ২৭/০৮/২০১৮ ইং তারিখ সোমবার জকিগঞ্জ অনলাইন পত্রিকা জকিগঞ্জ অনলাইন নিউজ ২৪ ডটকমে সংবাদকৃতসহ আরো বিভিন্ন মাধ্যমে শেয়ারকৃত আমার এবং আমাদের সমিতির বিষয়ে করা সংবাদটি এবং অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট,ভিত্তিহীন এবং অযৌক্তিক। আমি এই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রকৃতপক্ষে সমিতির এই উন্নতি-অগ্রগতিকে দেখে কিছু অসাধু মহল সমিতিকে বিতর্কিত করতে সমিতির সুনাম নষ্ট করতে এধরণের সংবাদ রটাচ্ছে। এমনকি মানুষের মাঝে অনুলিপির কপি পাঠাচ্ছে। মূলত আমাদের সমিতি এবং সমিতির কার্যক্রম গত ২০১৭/২০১৮ অডিট অনুযায়ী সম্পূর্ণ স্বচ্ছ এবং স্বচ্ছল। সিলেট বিভাগের ৪ বারের শ্রেষ্ট্র এ সমিতিটি মানুষের অকৃতিম ভালবাসায় খুব ভালভাবেই চলছে। এবং কোনো কুচক্রমহল এখনও কোনো কার্যক্রমে বাধাঁ বিগ্নতা ঘটাতে পারেনি। সংবাদে প্রকাশিত আমার বিষয়ে করা অভিযোগগুলো সম্পূর্ন ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা বলে প্রমাণ করার সব তথ্য সমবায় মহলের প্রতিটা জায়গায় পড়ে আছে।
স্বাক্ষরিত মোঃ জাফরুল ইসলাম
সভাপতি
সোনারবাংলা সমবায় বহুমুখী সমবায়
সমিতি লিমিটেড। জকিগঞ্জ সিলেট।
প্রতিবেদকের বক্তব্যে :
টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জকিগঞ্জ সোনার বাংলা বহুমুখী সমবায় সমিতির  মোঃ জাফরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন এর চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ’র বরাবরে লিখিত অভিযোগপত্রসহ সমিতির সভাপতি মোঃ আব্দুশ শহিদ ও সদস্যবৃন্দ কমান্ড্যান্ট, ডিজিএফআই, সিলেট, পুলিশ বিশেষ বিভাগ, সিলেট, এনএসআই, সিলেট, জেলা প্রশাসক, সিলেট, পুলিশ সুপার, সিলেট, নিবন্ধন সমবায় অধিদপ্তর, ঢাকায় পৃথক পৃথক ভাবে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংবাদটি অন্যান্য অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় ছাপানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সংবাদটি জকিগঞ্জ অনলাইন নিউজ২৪ ডটকমে প্রচার করা হয়েছে। এখানে প্রতিবেদকের কোনো বক্তব্যে ছাপা কিংবা প্রকাশ করা হয়নি।

Tuesday 28 August 2018

টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন বরাবরে অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টারঃ  টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জকিগঞ্জ সোনার বাংলা বহুমুখী সমবায় সমিতির লিমিটেডের সেক্রেটারি মোঃ জাফরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন এর চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ’র বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।গত ২১ আগস্ট মঙ্গলবার সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ আব্দুশ শহিদ ডাক যোগে এ অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জকিগঞ্জ সোনার বাংলা বহুমুখী সমবায় সমিতির লিমিটেড এর সেক্রেটারি জকিগঞ্জের কেছরী আলমনগর গ্রামের এবাদুল হকের পুত্র মোঃ জাফরুল ইসলাম সমিতির স্বঘোষিত সভাপতি হয়ে নিজের ইচ্ছায় সমিতির অনুমোদন ও কমিটির রেজুলেশন ছাড়া ৫/৫০ লক্ষ ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেন।তিনি নিজেকে সভাপতি ও তার ভাইকে সেক্রেটারি নিয়োগ দিয়ে অবৈধ কাজকে বৈধ করার কাজে দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে সমিতির সভাপতি আব্দুশ শহিদ সমবায় অধিদপ্তরকে জাফরুল ইসলামের দুর্নীতির ব্যাপারটি অবহিত করলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।সমবায় সমিতির ঋণের ১নং হতে ৫নং ক্রমিকে বর্ণিত জাফরুল ইসলামের পিতা এবং আত্মীয়-স্বজনের নামে বরাদ্দ কৃত টাকা নিজেই আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন দাগে ১৫ কোটি টাকার জায়গা-জমি তার নামে ক্রয় করেছেন। যা সমিতির সংবিধান বর্হিভূত। সে সমিতির সদস্যদের শেয়ার বিক্রি করেছে কিন্তু এর কোনো সার্টিফিকেট কাউকে দেন নি।
নির্বাহী কমিটির রেজুলেশন ছাড়া সেক্রেটারি জাফরুল সমিতির ক্যাশ থেকে টাকা নিয়ে ভোগ-বিলাস করেছেন। এছাড়াও বন্যার সময় ত্রাণ বিতরণ, শীতবস্ত্র, রমজানে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ নির্বাহী কমিটির মিটিং না করে সে ইচ্ছামত বিতরণ করে এবং অতিরিক্ত খরচ দেখান।কার্যকরী কমিটির মিটিং ছাড়া প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা অফিসের ব্যয় খরচ ধরেছেন। সমিতির অফিসের ক্যাশে যত টাকা আছে লেজার খাতার সাথে তার কোনো মিল নেই। সে সমিতির একাউন্টে টাকা না রেখে ব্যক্তিগত একাউন্টে টাকা লেনদেন করে যাচ্ছেন। তার দুর্নীতির সহযোগী হিসেবে মাহতাব আহমদকে ক্যাশিয়ার এবং এখলাছুর রহমান খানকে প্রধান নির্বাহী নিয়োগ করে টাকার উৎসবে মেতে উঠেছে।এখলাছুর রহমান কৃষি ব্যাংকের ক্যাশিয়ার ছিলেন,দুর্নীতির দায়ে তাকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চাকুরি থেকে বরখাস্ত করেছে।সেক্রেটারি সমিতির টাকা দিয়ে জায়গা জমির ব্যবসা করেছেন তা সমিতির সংবিধান লঙ্ঘন। অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়,জাফরুল ইসলাম জকিগঞ্জ বাজারে তার নিজস্ব জায়গায় গত ১ জানুয়ারী ২০১৮ সোনার বাংলা বহুমুখী সমবায় সমিতির লিমিটেডের ভবন নির্মাণ করতে চাইলে সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ আব্দুশ শহিদ বিষয়টি আইনীভাবে সঠিক হবে না বলে বাধা প্রদান করেন।এ নিয়ে সভাপতি ও সেক্রেটারির মধ্যে বাক-বিতন্ডা হলে এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়।দূরত্বের সৃষ্টির সুবাদে জাফরুল ইসলাম দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে।এ ব্যাপারে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সমিতির সভাপতি মোঃ আব্দুশ শহিদ কমান্ড্যান্ট,ডিডিএফআই,সিলেট,পুলিশ বিশেষ বিভাগ,সিলেট,এনএসআই,সিলেট,জেলা প্রশাসক,সিলেট,পুলিশ সুপার,সিলেট,নিবন্ধন সমবায় অধিদপ্তর,ঢাকায় পৃথক পৃথক ভাবে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

Sunday 26 August 2018

ফুলতলীতে তালামীযের ৩ দিনব্যাপী বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন

আল্লাহ যাকে ভালোবাসেন তাকে দ্বীনের সঠিক বোধ দান করেন
-------মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী
ফুলতলী ছাহেব বাড়ীতে বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার ৩দিনব্যাপী (২৫-২৭ আগস্ট) বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধন হয়েেেছ।  গতকাল ২৫ আগস্ট শনিবার বিকেলে এ কর্মশালা উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর মুহতারাম সভাপতি হযরত মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী। এসময় উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, মানুষ আল্লাহর সর্বোত্তম সৃষ্টি। মানুষের কারণে দুনিয়ায় যেমন কল্যাণ আসে তেমনি তাদের কৃতকর্মের ফলে বিপর্যয়ও আসে। আল্লাহ মানুষকে ধনসম্পদ, রাজত্ব ইত্যাদি দান করেন। সর্বক্ষেত্রে এসব আল্লাহর সন্তুষ্টি বা অসন্তুষ্টির ফল নয়। একজন নাফরমান ব্যক্তিও ধনসম্পদ ও রাজত্বের মালিক হতে পারে। কিন্তু দ্বীনের সঠিক বোধশক্তি আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ রহমত। আল্লাহ যাকে ভালোবাসেন তাকে দ্বীনের সঠিক বোধ দান করেন।।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেদওয়ান আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসাইন জাহেদ-এর পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা নজমূল হুদা খান, তালামীযে ইসলামিয়ার  সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা ফখরুল ইসলাম ও সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা হাসান চৌধুরী গিলমান।

কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূনূর রহমান লেখন এর কুরআন তেলাওয়াত ও সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক সৈয়দ আহমদ আল জামিল এর শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে সূচিত অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দুলাল আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কাওছার আহমদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোজতবা হাসান চৌধুরী নুমান, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মদ উসমান গনি, অর্থ সম্পাদক ওয়ালিউর রহমান সানী, সহ-শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মনসুর আহমদ, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান জুয়েল, সিলেট মহানগর সভাপতি মাহবুবুর রহমান ফরহাদ, সাধারণ সম্পাদক এসএম মনোয়ার হোসেন, সিলেট পশ্চিম জেলা সভাপতি জাহেদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শেখ আলী হায়দার, সিলেট পূর্ব জেলা সভাপতি আব্দুল খালিক রুহিল শাহ, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, মৌলভী বাজার জেলা সভাপতি আব্দুল জলিল, সাধারণ সম্পাদক শেখ কাদের আল হাসান, হবিগনজ জেলা সভাপতি মোবাশ্বির হোসাইন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আমিমুল ইহসান তাহসীন, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি জোন সভাপতি মাসরুর হাসান জাফরী, শাবিপ্রবির সাধারণ সম্পাদ মনজুর মহসিন ও সুনামগনজ জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ূম প্রমূখ।

Saturday 25 August 2018

জকিগঞ্জে যাত্রী ছাউনির নামকরণ নিয়ে দুই ইউনিয়নে সংঘর্ষে আহত ২০ জন

স্টফ রিপোর্টারঃ  জকিগঞ্জে যাত্রী ছাউনি নিয়ে দুই ইউনিয়নে পাশাপাশি গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বিকেলের দিকে জকিগঞ্জ ইউপির দরিয়াবাজ গ্রামে ও সুলতানপুর ইউপির ইলাবাজ গ্রামের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংর্ঘষ নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে উভয় পক্ষের আফতাব উদ্দিন (৩০), আব্দুস সালাম (৩৩), শিহাব উদ্দিন (২৮), মাসুম আহমদ (২৫), মইন উদ্দিন (২৭), সাইদুল ইসলাম (২৫), মাহতাব উদ্দিন (৪৫) হবিবুর রাহমন (৩৯) সহ অন্তত ২০/২৫ জন লোক আহত হয়েছে। আহতরা জকিগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। জানা গেছে, জকিগঞ্জ-সিলেট সড়কের সেনাপতি ব্রিজের পাশে একটি যাত্রী ছাউনি রয়েছে। এ যাত্রী ছাউনিটি দরিয়াবাজ গ্রামের নামে নামকরণের চেষ্টা করেন ঐ গ্রামের লোকজন। এতে বাধা দেন ইলাবাজ গ্রামের লোকজন। এ নিয়ে র্দীঘদিন থেকে তাদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। শুক্রবার বিকেলে ইলাবাজ গ্রামের কামরুল ইসলাম (৫০) নামের একজন লোক দরিয়াবাজ গ্রামের পাশ দিয়ে যাবার সময় দরিয়াবাজ গ্রামের কয়েকজন লোক তার উপর হামলা করে। এ হামলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের লোকজন দেশী অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। সুলতানপুর ইউপির সদস্য আব্দুল খালিক জানান, এ যাত্রী ছাউনিটি ইলাবাজ গ্রামের নামে র্দীঘদিন থেকে নামকরণ করা রয়েছে। সুলতানপুর ইউনিয়নের অর্থায়নে সংস্কারও হয়েছে। এরপরও জকিগঞ্জ ইউনিয়নের দরিয়াবাজ গ্রামের কয়েকজন লোক যাত্রী ছাউনিটি তাদের গ্রামের নামে নামকরণ করতে চেষ্টা করে। যাত্রী ছাউনিতে ইলাবাজ গ্রামের নাম লিখা ছিলো তাও দরিয়াবাজ গ্রামের লোকজন মুছে ফেলেছে। এ নিয়ে শুক্রবার বিকেলের দিকে দরিয়াবাজ গ্রামের কয়েকজন লোক ইলাবাজ গ্রামের নিরীহ একজনের উপর হামলা করেছে। এ হামলার পর দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। জকিগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান হাওলাদার জানান, ইলাবাজ বাসস্ট্যান্ডে একটি যাত্রী ছাউনিতে ইলাবাজ আর দরিয়াবাজ গ্রামের নামকরণ নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। আমরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এ ঘটনায় কোন পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।

নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনা, নিহতের ১৪ _গুরুতর আহত ১২

স্টাফ রিপোর্টারঃ  নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে লেগুনার সংঘর্ষে ১৪ জন মারা গেছেন।শনিবার (২৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার প্লিক মোড়ে নাটোর-পাবনা মহাসড়কে সাদিয়া ফিলিং স্টেশনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে ১০ জন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লেগুনাকে ধাক্কা দেওয়া বাসটি চ্যালেঞ্জার পরিবহনের। বাসটি পাবনা থেকে বগুড়া যাচ্ছিল। লেগুনাটি একটি বাস ওভারটেক করার সময় চ্যালেঞ্জার বাসের মুখোমুখি হলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিএম শামসুন নূর জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের বনপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, আমেনা ক্লিনিক, পাটোয়ারি ক্লিনিকসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া কয়েকজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। নাটোর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, লেগুনাকে চাপা দেওয়ার পর বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে গাছে ধাক্কা দেয়। এতে বাসের ১৫ যাত্রী আহত হন। এ ঘটনা তদন্তে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। নিহতদের মধ্যে ১২ জনের নাম জানা গেছে। এরা হলেন লেগুনার চালক ঠাকুরগাঁওয়ের রহিম আলী (২৮), নাটোরের বড়াইগ্রামের নারায়ণপুরের রজুফা বেগম (৫০), শেফালী বেগম (৪৫), জামাইদিঘার লগেনা বেগম (৬৫), পাবনার দাশুড়িয়া মিরকামারি গ্রামের শাপলা আক্তার (২০), শাপলার মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১১ মাস), পাবনার পাকশির সোবহান আলী (৭৫), টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার রোকন শেখ (২২), পাবনার পাকশীর সোবহান (৫০) ও মূলাডুলি শ্মশানপাড়ার আদুরি বিশ্বাস (৩৫), তার মেয়ে স্বপ্না বিশ্বাস (দশ মাস) ও ছেলে প্রত্যয় বিশ্বাস (১২)। বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি। বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিএম শামসুন নূর জানান, দুর্ঘটনায় লেগুনার চালক, হেলপারও নিহত হন। নিহতদের মধ্যে তিন শিশু ও ছয়জন নারী রয়েছেন। বাসটির চালক পালিয়েছে।নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজ্জাকুল ইসলাম দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। দুর্ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

Monday 20 August 2018

কুরবানী_আবু নাসের সিদ্দিক তুহিন

কুরবানী 
উল্টো টাকায় কুরবানী হয়
জগৎ জুড়ে সব খানে,
আসল নিয়ম কেউ মানে না
সবাই কেমন,সব জানে। 

ঘুষখোর আর চোরবাটপার
কিনতে গরুর হাটে,
ঈদের আগে বিল চাই যে
উপরি কামাই মাঠে। 

হাতির মতো লাগবে গরু
গরুর মতো ছাগল,
আমজনতা দেখেই যাবে
ভাববে তারা পাগল। 

বিলিয়ে দেবে,টাকার খনি
লুংগি,কাপড়, গোস্ত, 
দেখে শুনে আমরা পাগল
সরকারো অভ্যোস্ত। 

সবার আগে তারি পিছে
ছুটছে সবাই দেখো,
আমি তুমি সবাই মিলে
ওদের কথা লেখো। 

ওদের দেয়া কোরবানী তো
হয় না নিয়ম শুদ্ধ, 
আমরা মানুষ ওদের ধরা
সেজেই থাকি বুদ্ধ।।

এমন মানুষ যারা_সৈয়দ আছলাম হোসেন


এমন মানুষ যারা
চোখের জলে আরশ ভিজে 
এমন মানুষ যারা , 
পরকালে হাসর মাঠে 
হাজির হবেন তারা ।

অভাবীদের অভাব দেখে 
দূরে সরে দিলে , 
পরকালে পাপের হিসেব 
সবই যাবে মিলে ।

সর্ব জীবের মালিক যিনি 
ভাল মন্দ বুঝেন , 
আমল নামার হিসেব তিনি  
পরকালে খুজেন ।

খোদার দেয়া ভুবন জুড়ে 
পরীক্ষার ই খাতায় , 
পরকালের চিন্তা সবার 
থাকে যেন মাথায় ।

Sunday 19 August 2018

তিন দিনের রিমান্ডে ইডেনের ছাত্রী লুমা

নিরাপদ সড়কের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনের সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে উসকানির অভিযোগে গ্রেপ্তার ইডেন কলেজের ছাত্রী লুত্ফুন্নাহার লুমা ওরফে নীলাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁকে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন। এর আগে দুপুরের পর পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগ কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম (তদন্ত কর্মকর্তা) লুমাকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। বিকেলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী কামরুল ইসলামের আদালতে শুনানি হয়। আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালত আদেশে উল্লেখ করেন, রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় নারী পুলিশ উপস্থিত থাকবেন। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী জিজ্ঞাসাবাদেরও নির্দেশ দেন আদালত। গত বুধবার ভোরে সিরাজগঞ্জের বেলকুচির খিদ্রচাপাড়া এলাকা থেকে লুমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে ঢাকায় রমনা থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭(২) ও ৬৬ ধারায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। লুমা ইডেন কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গোপন তদন্তে জানা যায় যে লুমা সক্রিয়ভাবে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। তাঁকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁর সহযোগীদের শনাক্ত, অপপ্রচার বন্ধ ও মামলার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে। এদিকে লুমার পক্ষে তাঁর আইনজীবী জায়েদুর রহমান জাহিদ রিমান্ড আবেদন বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন। এ সময় তদন্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি জামিনের বিরোধিতা করে রিমান্ডে দেওয়ার আবেদন জানান। আদালতে লুমার মা রাশিদা বেগম তাঁর আরেক মেয়েকে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন। আদালতে তাঁকে কাঁদতে দেখা গেছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ ছাত্রের জামিন নামঞ্জুর : পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ ছাত্রের জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে। গতকাল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আলাদা তিনটি আদেশে জামিন নামঞ্জুর করেন। এর আগেও কয়েকজন ছাত্রের জামিন নামঞ্জুর হয়। গতকাল যাঁদের জামিন নামঞ্জুর হয়েছে তাঁরা হলেন রাশেদুল ইসলাম, মুসফিকুর রহমান, এমডি হাসান, রেদোয়ান আহমেদ, রেজা রেফাত আহমেদ, সীমান্ত সরকার ও ইফতেখার হোসেন। তাঁরা বাড্ডা থানায় দায়ের করা মামলার আসামি। সাবের আহমেদ উল্লাস, শিহাব শাহরিয়ার, সাখাওয়াত হোসেন নিঝুম ও আজিজুল করিম অন্তর ভাটারা থানায় দায়ের করা মামলার আসামি। আলাদা দুটি জামিন আবেদনের ওপর গতকাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট লস্কর সোহেল রানার আদালতে শুনানি হয়। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। অন্যদিকে বাড্ডা থানার মামলার আরেক আসামি মাদাস বিন মর্তুজার জামিনের জন্য বিশেষ আবেদন করা হলে তা অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কেশব রায় চৌধুরীর আদালতে শুনানির জন্য ছিল। গতকাল মর্তুজাকে আদালতে হাজির করা হয়। আসামি শারীরিকভাবে অসুস্থ বিবেচনায় জামিন চাইলে আদালত নামঞ্জুর করেন।

Saturday 18 August 2018

সেনা সদস্যর সাথে হাতাহাতি _ওসি প্রত্যাহার

স্টাফ রিপোর্টারঃ  ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শুক্রবার (১০ আগস্ট) তাকে প্রত্যাহার করে ভোলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। ভোলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোক্তার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘প্রশাসনিক কারণে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। জানা যায়, দক্ষিণ আইচা থানার ওসি হাবিবুর রহমান ঘুষ-দুর্নীতিসহ নানা অনিয়মের কারণে এলাকায় বির্তকিত হয়ে পড়েন। সর্বশেষ গত বুধবার তার সঙ্গে এক নৌ-সদস্যের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ হেডকোয়াটারের অনুমতিক্রমে ওই ওসিকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্তের নির্দেশ দেন। এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত ওসি হাবিবুর রহমান কিছু জানেন না দাবি করে বলেন, ‘বিষয়টি এসপি জানেন। চরফ্যাশন সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘দক্ষিণ আইচা থানার ওসি হাবিবুর রহমানকে প্রশাসনিক কারণে পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়েছে। সংগত কারণে ওই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এমাদুল করিম তার দায়িত্ব পালন করবেন।’

Wednesday 15 August 2018

জকিগঞ্জ বারহালে মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আলোচনা সভা

সাইফুর রহমানঃ জকিগঞ্জ উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের শাহগলী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে ১৪ আগস্ট মঙ্গলবার বিকাল ৩ ঘটিকায় শাহগলী বাজারে অনুষ্ঠিত হয় মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে এক আলোচনা সভা।
শাহগলী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আকরাম আলীর সভাপতিত্বে, বারহাল ইউ/পি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আহমদ ও ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য এম এ রউফ সাহেদের যৌথ পরিচালানায় ও ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য হাফিজ আব্দুল আজিজের পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যবসায়ী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সিলেট জেলার সহসভাপতি সিলেট জেলা কমিউনিটি পুলিশ এর আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মাসুক উদ্দিন আহমদ।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জকিগঞ্জ থানা এস আই মোস্তাক আহমদ, জকিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল হক লনি, বারহাল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সভাপতি মুহিবুর রহমান চৌধুরী, সহসভাপতি মাওঃ আব্দুল বারী ও সৈয়দ রিয়াজ উদ্দিন পুতুল, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ফারুক আহমদ (পোস্ট মাস্টার, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম টুকু, বারহাল ইউনিয়ন জাতী পার্টি সভাপতি মুক্তাউর রহমান চৌধুরী চুনু মিয়া, বারহাল এহিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য ছদিওল ফারুক আহমদ, বারহাল ইউ/পি ৯নং ওয়ার্ড সদস্য সুমন আহমদ চৌধুরী ও ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য সুনাম উদ্দিন,জকিগঞ্জ উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ন আহবায়ক লেইছুল হক দুলাল,উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা এবাদুর রহমান চৌধুরী ও শেখ আব্দুল করিম,উপজেলা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট এর সভাপতি নুরুল ইসলাম সুহেল, সিলেট মহানগর ছাত্রলীগ নেতা বিরাজ কান্তি দাস তপু, শাহগলী আদর্শ শিশু বিদ্যানিকেতনের প্রিন্সিপাল সাইফুর রহমান,শাহগলী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান,কোষাধ্যক্ষ জাকির আহমদ নাদিম, সদস্য জামিল আহমদ, হাফিজ নুরুল ইসলাম, ফরন মিয়া, আতিকুর রহমান, আবুল কালাম। জকিগঞ্জ উপজেলা শ্রমিকলীগের সহসভাপতি গৌছ উদ্দিন ও শাহগলী আদর্শ শিশু বিদ্যানিকেতনের সহকারী শিক্ষক জাহেদ আহমদ প্রমূখ।

Tuesday 14 August 2018

জকিগঞ্জে স্কুল ছাত্রীকে যৌন হয়রানী, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

স্টাফ রিপোর্টারঃ জকিগঞ্জের জোবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অস্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর করে স্থানীয় সীমেরবন্দ গ্রামের ময়নুল ইসলামের পুত্র আক্তার আহমদ। প্রতিবাদে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে প্রায় ২টা পর্যন্ত জকিগঞ্জ সিলেট সড়ক অবরোধ করে বিদ্যালয়ের কয়েক শ ছাত্র। এ সময় সড়কের দু'পাশে বাস মিনিবাস, ট্রাক, লেগুনা, সিএনজি অটোরিকসা সহ শতাধিক গাড়ি আটকে পড়ায় দীর্ঘ যানজটের সৃস্টি হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম ও সিনিয়র শিক্ষক কামরুজ্জামান জানান গতকাল বিদ্যালয় ছুটির পর বাড়ি যাওয়ার পথে মেয়েটিকে যৌন হয়রানী করে বখাটে আক্তার। ঐ অভিযুক্তকে নিয়ে আজ বিদ্যালয়ে নিয়ে আসার কথা ছিলো। কিন্তু সে না আসায় বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা। পু্লিশ আসার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হয়। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তকে আসামী দিয়ে মামলা দায়ের করেছে। জানতে চাইলে অ্যাডিশনাল এসপি মোস্তাক সরকার বলেন ঘটনার সাথে সাথে আমাদের অবহিত করা উচিত ছিলো। এর পরও সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশ চেস্টা করছে বলে তিনি জানান।

Monday 13 August 2018

মোবাইলে কথা বলতে বলতে ছয়তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে ছাত্রীর মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টারঃ ছয়তলা ভবনের ছাদে বসে হবু বরের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলছিল স্কুলছাত্রী দোলা কর্মকার। এ সময় অসাবধানতাবশত পা পিছলে ছাদ থেকে পড়ে প্রাণ হারিয়েছে সে।
রোববার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সিরাজগঞ্জ শহরের মুজিব সড়ক এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দোলা কর্মকার ওই এলাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ী রিপন কুমার কর্মকারের মেয়ে ও সবুজ কানন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত বা মামলার কোনটিই হয়নি।
সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজিম উদ্দিন নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে জানান, সম্প্রতি টাঙ্গাইলের এক ছেলের সঙ্গে দোলার বিয়ে ঠিক হয়েছে। রাতে বাড়ির ছাদে উঠে কার্নিশে বসে দোলা তার হবু বরের সঙ্গে কথা বলছিল। এ সময় হঠাৎ পা পিছলে নিচে পড়ে যায় দোলা। পরে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, মেয়েটির শরীরের পেছনের বেশ কিছু অংশ থেঁতলে গেছে। তাকে হত্যার উদ্দ্যেশে কেউ ধাক্কা দিয়েছে তা প্রাথমিকভাবে মনে হয়নি। স্বজনদের অভিযোগ না থাকায় কোন মামলাও হয়নি। পুলিশ শুধুমাত্র একটি জিডিমূলে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

আবাসিক হোটেল থেকে ৮ ছাত্র-ছাত্রী আটক

ডেস্ক রিপোর্ট ● অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে রাজশাহী মহানগরীর ‘পপুলার’ নামের এক আবাসিক হোটেল থেকে ৮ জন যুবক-যুবতীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে তাদের লক্ষীপুরে অবস্থিত পপুলার আবাসিক হোটেল থেকে আটক করে রাজপাড়া থানা পুলিশ।
আটককৃতদের নাম জানা যায়নি। আটককৃতদের মধ্যে কয়েকজন কলেজের ছাত্রছাত্রী রয়েছে বলে জানা গেছে। জানা গেছে, রাজশাহী মহানগরীর লক্ষীপুরে অবস্থিত পপুলার আবাসিক হোটেলে যুবক-যুবতীরা অসামাজিক কার্যকলাপ করছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে রাজপাড়া থানা পুলিশের এসআই মোতালেব ও এএসআই সিরাজুল সঙ্গীয় ফোর্সসহ পপুলার আবাসিক হোটেলে দুপুরে অভিযান চালিয়ে ৮ জন যুবক-যুবতীকে আটক করে।
এরমধ্যে ৪ জন নারী ও চারজন পুরুষ রয়েছে। আটককৃতদের থানা হাজতে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে রাজপাড়া থানার এএসআই সিরাজুল ইসলাম বলেন, অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে চারজন নারী ও চারজন পুরুষকে আটক করা হয়েছে। তাদের থানা হাজতে রাখা হয়েছে। আটককৃতদের বেশিরভাগ কলেজের ছাত্রছাত্রী। আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রিপোর্ট ● অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে রাজশাহী মহানগরীর ‘পপুলার’ নামের এক আবাসিক হোটেল থেকে ৮ জন যুবক-যুবতীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে তাদের লক্ষীপুরে অবস্থিত পপুলার আবাসিক হোটেল থেকে আটক করে রাজপাড়া থানা পুলিশ।
আটককৃতদের নাম জানা যায়নি। আটককৃতদের মধ্যে কয়েকজন কলেজের ছাত্রছাত্রী রয়েছে বলে জানা গেছে। জানা গেছে, রাজশাহী মহানগরীর লক্ষীপুরে অবস্থিত পপুলার আবাসিক হোটেলে যুবক-যুবতীরা অসামাজিক কার্যকলাপ করছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে রাজপাড়া থানা পুলিশের এসআই মোতালেব ও এএসআই সিরাজুল সঙ্গীয় ফোর্সসহ পপুলার আবাসিক হোটেলে দুপুরে অভিযান চালিয়ে ৮ জন যুবক-যুবতীকে আটক করে।
এরমধ্যে ৪ জন নারী ও চারজন পুরুষ রয়েছে। আটককৃতদের থানা হাজতে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে রাজপাড়া থানার এএসআই সিরাজুল ইসলাম বলেন, অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে চারজন নারী ও চারজন পুরুষকে আটক করা হয়েছে। তাদের থানা হাজতে রাখা হয়েছে। আটককৃতদের বেশিরভাগ কলেজের ছাত্রছাত্রী। আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Sunday 12 August 2018

বিয়ে ডিঙ্গিয়ে বিসিএস ক্যাডার নাঈমা

স্টাফ রিপোর্টারঃ
দেশে যারা ভাল কিছু করেছেন তারা নানা প্রতিকূলতা পার হয়ে বর্তমানে এ পর্যায়ে এসেছেন। ঠিক সেরকমই একটি মেয়ের স্বপ্ন ছিল উচ্চ শিক্ষায় বড় হয়ে দেশের জন্য কিছু করবেন। সব সময়ই স্বপ্ন দেখতেন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আমূল পাল্টে দেবেন। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি বাস্তবমুখী শিক্ষায় গড়ে তুলবেন শিক্ষার্থীদের। তবে কৈশোরেই সে স্বপ্ন ভেঙ্গে যেতে বসেছিল। রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে হওয়ায় এসএসসি পরীক্ষার পরেই বিয়ে দেয়ার চিন্তা শুরু হয় পরিবারে। তবে সব প্রতিকূলতা পেছনে ফেলে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ৩৬তম বিসিএস পরীক্ষায় শিক্ষা ক্যাডারে মনোনীত হয়েছেন তিনি।
যার কথা বলছিলাম
তিনি হলেন জান্নাতুল নাইম চৌধুরী নাঈমা। রক্ষণশীল পরিবারের বাধা ঠেলে তিনি এখন বিসিএস ক্যাডার।
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার (সাবেক দোহাজারী ইউনিয়ন) চাগাচর ১ নং ওয়ার্ডের চৌধুরী বাড়ির সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম নাঈমার। দোহাজারীর সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি হাজী মালেকুজ্জামান চৌধুরীর পুত্র ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আব্দুল মাবুদ চৌধুরী ও পুত্রবধূ আলহাজ্ব রহিমা বেগমের পঞ্চম সন্তান নাঈমা। ৬ ভাইবোনের মধ্যে বোনদের মধ্যে ছোট এবং পরিবারের পঞ্চম সন্তান নাঈমা।
শিক্ষা জীবনের শুরু থেকেই প্রচন্ড মেধাবী নাঈমা প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন দোহাজারীর চাগাচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয়ে। মাধ্যমিকে দোহাজারী আঃ রঃ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৫ সালে বিজ্ঞান বিভাগ এবং ২০০৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিকে বিজিসি ট্রাস্ট এর বেগম গুল চেমন আরা একাডেমী হতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। এরপর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারী হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের অর্থনীতি বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স দুই পরীক্ষাতেও প্রথম বিভাগেই উত্তীর্ণ হন।
জানতে চাইলে নাঈমা বলেন, গ্রামে জন্ম হওয়াতে আর দশটা মেয়ের মত আমারও অল্প বয়সে বিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু আমার মেঝ ভাই সাংবাদিক চৌধুরী রাসেলের বাধার মুখে আমার বিয়ে দিতে পারেনি মা-বাবা। পরে তিনি আমাকে গ্রাম থেকে শহরে নিয়ে আসেন এবং তার অনুপ্রেরণা, সাহস ও আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হই। এরপর বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে শিক্ষা ক্যাডারে মনোনীত হলাম। আমি সবার কাছে দোয়া চাই, যেন দেশ ও দশের সেবা করে যেতে পারি।
নাঈমা আরো জানান, দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে দেশের বাইরে থেকে উচ্চতর গবেষনায় ডিগ্রী অর্জন করার ইচ্ছে আছে তার।

উপবৃত্তি প্রকল্পের ৬৮ কোটি টাকা লোপাট_নূর মোহাম্মদ।।

অনলাইন নিউজঃ উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রকল্পের ৬৮ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। ২০১৪ থেকে ১৭ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর পর্যন্ত এ টাকার লোপাট হওয়ার প্রমাণ পেয়েছে অডিট বিভাগ। এরমধ্যে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি লোপাট হয়েছে ৬৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। বাকি টাকা অন্যান্য অর্থবছরে লুটপাট হয়েছে। একই বিল বারবার ব্যবহার, ভ্যাট কর্তন না করে আত্মসাৎ, সম্মানী নামে অর্থ আত্মসাৎ, গাড়ির ব্যবহারে নামে-বেনামে বিল দিয়ে এ অর্থ আত্মসাৎ হওয়ার প্রমাণ পেয়েছে অডিট বিভাগ। আত্মসাৎ করা এ অর্থ সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়ার সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।
এ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রকল্পে তুমুল সমালোচনার ঝড় উঠেছে। প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ থেকে ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাজেট বরাদ্দ, ডিপিপি, ক্যাশবই, বিল-ভাউচারসহ সংশ্লিষ্ট নথি যাচাই করে ১১ দফায় ৬৮ কোটি ১৩ লাখ ৭৮ হাজার ১৪৮ টাকার অনিয়ম পেয়েছে অডিট কর্মকর্তারা।
এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি দোষাদোষি চলছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ছিল ১৪৪ কোটি ৮১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। আর্থিক বিবরণীতে শত ভাগ অর্থ খরচ দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪ কোটি ৯২ লাখ ৭৮ হাজার টাকা দ্বাদশ শ্রেণি এবং ৪৬ কোটি ২৪ লাখ ৮১ হাজার ৯০০ টাকা একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি বিতরণ বাবদ অগ্রণী ব্যাংকে জমা দেয়া হয়। অবশিষ্ট ৬৩ কোটি ৬৪ লাখ ৪৯ হাজার ৩০০ টাকা কোন খাতে কীভাবে খরচ করা হয়েছে তার প্রমাণ নেই। তবে বিলের সঙ্গে সংযোজিত এক বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে ৫৩ কোটি ৮১ লাখ ৫২ হাজার ৩০০ টাকার উপবৃত্তি হিসেবে দেয়া হয়েছে। এ টাকা কোথায় কতজন শিক্ষার্থীর মধ্যে বিতরণ হয়েছে তার কোনো বিল-ভাউচার নেই। সরকারি বিধান অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ভাউচার সংরক্ষণ করার দায়িত্ব নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তার হলেও তিনি তা দেখাতে পারেননি। আর বাকি টাকার কোনো বিল-ভাউচারই নেই। লোপাট হওয়া বেশিরভাগ টাকায় সম্প্রতি অবসরে যাওয়া প্রকল্প পরিচালক (পিডি) শ্যামা প্রসাদ বেপারীর বিরুদ্ধে। পিডি প্রকল্পের টাকায় কেনা একটি পাজেরো জিপ নিয়মিত ব্যবহার করেন। প্রকল্প থেকে গাড়ি ও গাড়ি মেরামত, সংরক্ষণ সুবিধা হিসেবে প্রতি মাসে ৪৫ হাজার টাকা করে তুলে নেন। ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের জুলাই থেকে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩০ মাসে ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সার্বক্ষণিক গাড়ি সচল রাখতে মেরামত, জ্বালানি, ড্রাইভারের বেতনসহ অন্যান্য খরচ বাবদ অফিস থেকে ৩৫ শতাংশ অর্থ নিতে পারবেন।
এ হিসেবে তিনি অতিরিক্ত ৮ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ টাকা বাড়তি নিয়েছেন। যা পিডির কাছ থেকে আদায় করে সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রকল্পের সাবেক পিডি বর্তমানে এলপিআর-এ থাকা শ্যামা প্রসাদ বেপারী বলেন, পিডি হিসেবে প্রকল্পের গাড়ি সবাই ব্যবহার করে আমিও করেছি। সেটা তো অন্যায় কিছু না। হিসাব-নিকাশ যদি গরমিল থাকে তা অবশ্যই জমা দিয়ে দেবো। পিডির দায়িত্বে থাকাকালীন অডিট আপত্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রকল্পে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে। সেগুলো ধরতেই আমি অডিট করিয়েছি। যারা দুর্নীতি করেছে তারা বর্তমানে কর্মরত আছে। তাদের জিজ্ঞেস করলেই সব জানতে পারবেন।
অডিট প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকল্পের যানবাহন মেরামত করতে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। মেরামতের বরাদ্দের টাকা খরচ করার পরে গাড়ি কেনার খাত থেকে বাড়তি ১ লাখ ২২ হাজার ৪০০ টাকা খরচ করা হয়েছে। আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ আদেশ ২০০৫ (উন্নয়ন)-এর ২-এ ২ ধারা লঙ্ঘন করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, প্রকল্পের ২০১৪ থেকে ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাজেট বরাদ্দ, ডিপিপি, ক্যাশবই, বিল-ভাউচারসহ সংশ্লিষ্ট নথি যাচাই করে ১১ দফায় ৬৮ কোটি ১৩ লাখ ৭৮ হাজার ১৪৮ টাকার অনিয়ম পেয়েছে অডিট কর্মকর্তারা। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা আরো জানান, ডিজিটাল পদ্ধতিতে উপবৃত্তি বিতরণ করার কাজ বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়। কাজ শেষে পরিশোধিত বিল থেকে ১৫ শতাংশ আর যাদের টিআইএ আছে তাদের কাছ থেকে ১০ শতাংশ আয়কর কর্তন করার কথা। কাজ পাওয়া ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানে টিআইএন না থাকায় বিল থেকে ৪ লাখ ৩৩ হাজার ২৮৮ টাকা কর্তন বাধ্যতামূলক থাকলেও তা করা হয়নি। এতে সরকারের ৪ লাখ ৩৩ হাজার ২৮৮ টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। এ অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। একই ভাউচার একাধিকবার ব্যবহার করে অর্থ লুটপাট করা হয়েছে। অডিট কর্মকর্তারা ১ লাখ ৬০ হাজার ৩০০ টাকার বিল ভাউচার একাধিক বার ব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছেন।
প্রকল্পের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ডেকোরেটার্স ক্যাটারার্স বিল পরিশোধের পাঁচটি ভাউচারে ১৫ শতাংশ হারে ১৮ হাজার ৩৪৮ টাকা কম ভ্যাট কর্তন করা হয়েছে। ডাটা প্রসেসিং কাজের সম্মানী, নিয়োগ কমিটির সম্মানী, গাড়ি ক্রয় কমিটিসহ বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে সম্মানী নিয়েছেন প্রকল্পের কর্মকর্তারা। ১১টি বিলের মাধ্যমে ৫ লাখ ২৮ হাজার ৩০০ টাকা নিয়েছেন। যার ১০ শতাংশ আয়কর সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার নিয়ম। কিন্তু কর্মকর্তারা তা জমা দেননি।
অডিটে আরো বলা হয়েছে, উন্নয়ন প্রকল্পের খরচ না হওয়া অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু ২০১৪ থেকে ২০১৭ অর্থবছরে অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে এ প্রকল্পের উপবৃত্তির টাকা ডাচ্‌- বাংলা মোবাইল ব্যাংকের কারিগরি সহায়তায় শিক্ষার্থীদের মোবাইল একাউন্টে দেয়া হয়। মোবাইল সিমসহ নানা জটিলতার কারণে অসংখ্য শিক্ষার্থী টাকা তুলতে পারেনি। এসব শিক্ষার্থীর সঠিক সংখ্যা প্রকল্প কর্মকর্তাদের কাছে নেই। প্রকল্পের কর্মকর্তাদের দাবি, জটিলতার কারণে ৮০০ শিক্ষার্থী টাকা তুলতে পারেনি। এসব শিক্ষার্থীর অনুত্তোলিত টাকার সংখ্যা ১৭ লাখ। যা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়নি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি আর্থিক বছরের ৩০শে জুনের মধ্যে খরচ না হওয়া অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার বিধান রয়েছে। তা লঙ্ঘন করে ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের জুন মাস পর্যন্ত অগ্রণী ব্যাংকে (হিসাব নম্বর-০২০০০০৪৫১৫৩৩৪) জমা থাকা ২ কোটি ৫৯ লাখ ৩৪ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়নি। এছাড়া উক্ত টাকার সার্ভিস চার্জ বাবদ ১ লাখ ৯৪ হাজার ৫০৫ টাকা আদায় করা হয়নি।
যা সরকারি আর্থিক শৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটেছে। ২০১৪ থেকে ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত প্রতি বছর ১০ হাজার টাকা করে ৪৭৯টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের ভ্রমণ ভাতা বাবদ মোট ৪৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা আর চারটি লিয়াজোঁ অফিসে প্রতি বছর ৭৫ হাজার টাকা করে ৫০ লাখ ৯০ হাজার টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। উপজেলা ও লিয়াজোঁ অফিসে মোট ১ কোটি ৫২ লাখ ৭০ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো হলেও ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা খরচের বিল-ভাউচার নেই। বিধান অনুযায়ী মাঠ পর্যায়ে খরচের ভাউচার প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো বাধ্যতামূলক। এই প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দপত্রে অর্থ খরচের বিল-ভাউচারের মূলকপি প্রকল্পের প্রধান দপ্তরে পাঠানোর নির্দেশনা রয়েছে। এসব কিছুই মানা হয়নি। সূত্র জানিয়েছে, অডিট আপত্তির পর প্রকল্পের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ভুয়া বিল-ভাউচার বানিয়ে পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছেন।
আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪-এর ধারা ৫২ এ অনুযায়ী ২৫ লাখ টাকার বেশি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা গ্রহণের পরিশোধিত বিলের উপর ১২ শতাংশ উৎসে আয়কর কর্তনের বিধান রয়েছে। অগ্রণী ব্যাংকের সঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক উপবৃত্তি প্রকল্প থেকে ১ শতাংশ হারে চুক্তি অনুযায়ী ১ কোটি ৪৭ লাখ ৮৩ হাজার ৮৬৮ টাকা প্রাপ্য। ১২ শতাংশ উৎসে আয়কর ১৭ লাখ ৭৪ হাজার ৬৪ টাকা হলেও কর্তন করা হয়েছে ১৪ লাখ ৭৮ হাজার ৩৮৭ টাকা। অর্থাৎ ২ লাখ ৯৫ হাজার ৬৭৭ টাকা কম কর্তন করা হয়েছে। যা সরকারের রাজস্ব ক্ষতি।
এ ব্যাপারে বর্তমান প্রকল্প পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, অফিসের অভ্যন্তরীণ বিষয় আপনাদের পাওয়ার কথা না। কিন্তু কীভাবে পেলেন? অডিট আপত্তির ব্যাপারে তিনি বলেন, আমার সময়ে কোনো অডিট আপত্তি নেই। আমি এসব বিষয়ে কথা বলবো না। এসময় তার রুমে উপস্থিত প্রকল্পের উপ-পরিচালক শ. ম. সাইফুল আলমের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, অডিট করার সময়ে নানা বিষয়ে আপত্তি তুলে। পরে আবার যথাযথ জবাব দিলে নিষ্পত্তি হয়ে যায়। অডিট আপত্তি মানেই দুর্নীতি না। উপবৃত্তি বিতরণ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় অডিট আপত্তি নিয়ে কাজ করতে পারিনি। শিগগিরই আমরা জবাব দেবো। বিল-ভাউচার অফিসে সংরক্ষণ নেই কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো আছে, খুঁজে বের করতে হবে।

জকিগঞ্জ-কানাইঘাটের খাদিম হয়ে কাজ করতে চাই_ এম জাকির হোসেইন।

স্টাফ রিপোর্টারঃ ব্রিটেনের র্শীষ ব্যবসায়ী ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য শিল্পপতি এম জাকির হোসেইন বলেছেন, জকিগঞ্জ-কানাইঘাট উপজেলার অবহেলিত মানুষের খাদিম হয়ে কাজ করতে চাই। মানুষের ভালোবাসাই আমার একমাত্র সম্বল। ওলি আউলিয়ার পূণ্যভূমি, শাহ শিতালং, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারমের খতিব আল্লামা উবায়দুল হক, আল্লামা ফুলতলী ছাহেব, আব্দুল গফ্ফার মামরখানি, আব্দুল গফ্ফার রায়পুরীসহ অনেক জ্ঞানী গুনীর জন্মভ‚মি এই জকিগঞ্জ। এ ভ‚মিতে আমার শৈশব, কৈশর, যৌবন বেড়ে উঠা। এ এলাকার মাটি ও মানুষের ভালোবাসায় আমি প্রেরণা পাই। জন্মভ‚মির মানুষের সুখে-দুঃখে সব সময় আমি আমার সাধ্যমত সহযোগিতা করছি। আজীবন করবো। আল্লাহ আমাকে যে সম্মান দিয়েছেন তাতে আমি সন্তুষ্ট। তিনি আরো বলেন, লন্ডনের বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন আমাকে সেখানে নির্বাচন করতে বলছে কিন্তু আমি সেখানে নির্বাচন করতে চাইনা।
আমি আমার এলাকার মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। জকিগঞ্জ-কানাইঘাটের মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে তৃপ্তি পাই। পল্লীবন্ধুর নির্দেশে আমি লন্ডন থেকে বাংলাদেশে এসে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। সাধারণ মানুষ চাইলে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে আমি প্রস্তুত। মানুষের কল্যাণে কাজ করাকে আমি রাজনীতি মনে করি। আগামী সংসদ নির্বাচনে পার্টির স্বার্থে যাকে প্রার্থী দেয়া হবে তাঁকে বিজয়ী করতে আমরা ঐক্যবদ্ধ। রবিবার জকিগঞ্জ শহরের এম এ হক চত্তরে উপজেলা যুবসংহতির আয়োজিত সংবর্ধনার জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলা যুবসংহতির আহবায়ক শাহ আলমের সভাপতিত্বে ও উপজেলা জাতীয় পার্টির প্রচার সম্পাদক আব্দুল আহাদ এবং ময়নুল ইসলামের যৌথ সঞ্চলনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা যুবসংহতির সাধারণ সম্পাদক মরতুজা আহমদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য আশিকুর রহমান আশিক, সিলেট জেলা জাতীয় পার্টির শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন লস্কর, মহানগরের শিল্প ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক রিমন আহমদ চৌধুরী, সিলেট জেলা ছাত্রসমাজের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুজিবুর রহমান ডালিম, মহানগর জাপা নেতা মো. ইউনুছ আলী। সভায় বক্তারা আগামী সংসদ নির্বাচনে জাকির হোসেইনেকে লাঙল প্রতীক দেয়ার জোর দাবি জানিয়ে বলেন, সিলেট তথা জকিগঞ্জবাসীর গৌরব এম জাকির হোসেইন। তিনি নিরবে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। অবহেলিত সীমান্তবাসীর ভাগ্যের উন্নয়নে জাকির হোসেইনের বিকল্প নেই। তিনি প্রবাসে থাকলেও দেশের বিপদগ্রস্থ নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ান। রাজপথের পরিক্ষিত, সৎ, নিষ্টাবান, আপামর জনসাধারণের প্রিয় জাকির হোসেইনের হাতে আগামী সংসদ নির্বাচনের লাঙল তুলে দেয়া হলে জনগন এই আসনে আবারো জাতীয় পার্টিকে বিজয়ী করবে। জোট বা একক যেভাবেই আগামী সংসদ নির্বাচন হোক না কেন জাকির হোসেইনকে প্রার্থী দিতে হবে। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সহ সভাপতি আব্দুল মালিক, উপজেলার যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল জলিল জালাল, আব্দুল জব্বার জবাই, পৌরসভা যুবসংহতির আহবায়ক মখদ্দছ আলী মকু, আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা উলামাপার্টির আহবায়ক মাওলানা নাইমুল হক খাঁন, উপজেলা সেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি বদরুল হাসান মেম্বার, জাপা নেতা কবিরুল হাসান মেম্বার, সাহেদ আহমদ, আলহাজ্ব ময়নুল ইসলাম, আব্দুল জলিল, আলী আহমদ, জাপায় যোগদানকারী ইউপি সদস্য পারভীন সুলতানা, পৌরসভা যুবসংহতির যুগ্ম আহবায়ক আবুল হাসেম, যুবনেতা শাহাব উদ্দিন, আব্দুল আহাদ, মুহিবুর রহমান, হাসানুল আলম হাসনু, রুবেল আহমদ, জসিম উদ্দিন, মিনহাজ আহমদ, সাহিদুর রহমান জীবন, রুবেল আহমদ, গিয়াস উদ্দিন, শরিফ আহমদ, হাসান আহমদ, আব্দুল গফুর পাপলু, রামিম আহমদ, ছাত্রসমাজ নেতা সালমান আহমদ, উপজেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি রুহুল আমিন চৌধুরী, আজমল হোসেন, মাসুদ আহমদ, শাহ আলম, খালেদ সাইফুল্লাহ প্রমূখ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ইউনিয়ন জাতীয় পার্টি ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে এম জাকির হোসেইনকে অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলের শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

সাড়ে চার মাস পর কবর থেকে তোলা হলো গৃহবধূর লাশ

বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় প্রায় সাড়ে চার মাস পর কবর থেকে বন্যা আক্তার (২৬) নামের এক গৃহবধূর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে রোববার দুপুরে উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের খোলনা গ্রামে কবর থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উত্তোলন করে পুলিশ।
উজিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাফর ইকবাল জানান, আদালতের নির্দেশে গতকাল দুপুরে গৃহবধূ বন্যার লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ সময় নির্বাহী হাকিম ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুম্পা সিকদার উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুর প্রায় চার মাস ১৮ দিন পরে ওই গৃহবধূর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, পরিবার ও এলাকাবাসীর সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৫ মার্চ উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের খোলনা গ্রামের মোশারফ হাওলাদারের বাসা থেকে অগ্নিদগ্ধে মৃত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতর পরিবারের আবেদনের পর ওই সময় ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন সম্পন্ন হয়।
কিন্তু গত ১৮ এপ্রিল নিহত গৃহবধূর ছোট বোন লিপি বেগম তার বোনকে যৌতুকের টাকার জন্য নির্যাতনের পর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ৬ জনকে আসামি করে বরিশাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। এ মামলার প্রেক্ষাপটে আদালতের বিচারক অনুতোষ চন্দ্র বালা গত ২৫ মে ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন।
নিহত গৃহবধূর পরিবার ও আদালতে দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে, বন্যা অক্তারের সাথে সামাজিকভাবে ২০০৭ সালে উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের খোলনা গ্রামের মোশারফ হোসেনের পুত্র মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদারের সঙ্গে বিয়ে হয়। ২০১৪ সালে স্বামী নজরুল ইসলাম ব্যবসা করতে বাবার বাড়ি থেকে ধার বাবত পাঁচ লাখ টাকা আনার জন্য স্ত্রী বন্যাকে চাপ দেন। এরপর থেকেই তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ শুরু হয়। পরে বোনের সুখের কথা চিন্তা করে ২০১৫ সালে দুই বছরে ফেরত দেয়ার শর্তে ধার বাবত দুলাভাই নজরুলকে পাঁচ লাখ টাকা দেন বাদি লিপি বেগম। কিন্তু ২ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর নিহত বন্যার ছোট বোন লিপির নিকট থেকে ধার নেয়া পাঁচ লাখ টাকা দিতে অপরাগত জানান স্বামী নজরুল।
এনিয়ে মোবাইল ফোনে নজরুল ও লিপির মধ্যে একাধিকবার বাকবিতন্ডা হলে বোন লিপির পক্ষ নেন নিহত বন্যা। এরই জের ধরে গত ২১ মার্চ ঝগড়া ঝাটির একপর্যায়ে বোনের দেবর রফিক হাওলাদার (২৮), রবিউল হাওলাদার (২৫) স্বামী নজলুল ইসলাম (৩২) শ্বশুর মোশারফ হোসেন (৫০) বন্যা পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে নির্যাতন করেন। নির্যাতনের একপর্যায়ে মারা গেছে ভেবে ঘটনা ধামাচাপা দিতে বন্যার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন।
বন্যার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি ঘটলে ২২ মার্চ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে পাঠান। ২৫ মার্চ ঢাকা মেডিকেল থেকে রোগী রিলিজ করে দিলে বাড়ি ফেরার পথে বন্যা মারা যান।
নিহতের ছোট বোন মামলার বাদী লিপি বেগম জানান, আমার বোনের মৃত্যুর পরের দিন ২৬ মার্চ উজিরপুর থানায় মামলা দিতে গেলে মামলা নিতে তালবাহানা শুরু করে পুলিশ। উজিরপুর থানা মামলা না নিলে গত ১৮ এপ্রিল বোনের স্বামী, শ্বশুর ও দেবরসহ ৬ জনকে আসামি করে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেড আদালতে তিনি (লিপি) মামলা করলে আদালতের বিচারক এ নির্দেশ দেন।

সিলেটে প্রতিপক্ষের গুলিতে সাবেক ছাত্রদল নেতা নিহত।।

স্টাফ রিপোর্টারঃ গতকাল শনিবার রাতে সিলেট সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে ফুল দিয়ে আসার পর ছাত্রদলের একটি গ্রুপের উপর হামলা চালায় ছাত্রদলেরই অপর একটি গ্রুপ। হামলায় নিহত হন মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-প্রচার সম্পাদক ফয়জুর রহমান রাজু (২৮)। আহত হন জাকির হোসেন উজ্জ্বল ও সালাহ লিটন নামে ছাত্রদলের আরও দুই কর্মী। গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা যান রাজু। জানা গেছে, রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরের কুমারপাড়ায় সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) নবনির্বাচিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বাসার কাছেই এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় আরিফুল হক চৌধুরী ও বিএনপি নেতারা তার বাসায় অবস্থান করছিলেন। ঘটনার পর শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার পরিতোষ ঘোষ রাত ১২টার পর জানান, ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি। তবে তার ধারণা যারা হামলা চালায় তারা আরিফুল হকের প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোক। তিনি আরও বলেন, হামলাকারীরা জামান গ্রুপের হতে পারে। এ ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের কাছ থেকে জানা যায়, শনিবার রাতে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয় থেকে মেয়র আরিফের গাড়িবহরের সঙ্গে মোটরসাইকেলযোগে নগরের কুমারপাড়া এলাকায় তার বাসায় যান ছাত্রদল কর্মী উজ্জ্বল, রাজু ও সালাহ লিটন। আরিফুল হককে বাসায় পৌঁছে দিয়ে ফেরার সময় তিনজন একই মোটরসাইকেলে করে ফিরছিলেন। গলির ভেতর থেকে কুমারপাড়া পয়েন্ট সংলগ্ন গলির মুখে আসা মাত্র শাহি ঈদগাহের দিক থেকে কয়েকটি মোটরসাইকেলে কিছু যুবক এসে তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তিনজনকে ধাওয়া দিয়ে ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। পরে গুলি ছুড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। আহত অবস্থায় তিনজন প্রায় ১০ মিনিট রাস্তায় পড়েছিলেন। খবর পেয়ে তাঁদের সঙ্গে থাকা কর্মী ও পুলিশ আহত তিনজনকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতদের মধ্যে ফয়জুর রহমান রাজুর অবস্থা ছিল গুরুতর। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. দেবব্রত রায় জানান, আহতদের মধ্যে রাজু নামে এক যুবক হাসপাতালে আনার পর মারা গেছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ উজ্জ্বলের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

Saturday 11 August 2018

খালেদা জিয়াকে ছাড়ুন না হয় প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ুন, পছন্দ আপনার কোনটা করবেনঃ বিল ক্লিনটন

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন বলেছেন, ওয়ার্ল্ড পলিটিক্স ইজ নাউ ডিফিকাল্ট। জাসাসের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও আমেরিকার ডেমোক্র্যাটিক পার্টির রেজিস্টার্ড ভোটার গোলাম ফারুক শাহীনকে এসব কথা বলেন বিল ক্লিনটন । তিনি বলেন, ‘আমি জানি সবকিছু’। বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক সিটি থেকে ৪০ মাইল দূরে হান্টিংটন সিটির একটি কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। অন্যদিকে, বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও তাঁর বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিএনপি এবার ভারতের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। লন্ডন থেকে হাউস অব লর্ডসের সদস্য অ্যালেক্স কারলিলি চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে দিল্লি যাচ্ছেন। তিনি দিল্লিতে ভারত সরকার এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে মিলিত হবেন। তবে ভারত সরকারের কোন স্তরের প্রতিনিধির সঙ্গে মিলিত হবেন তা এখনো জানা যায়নি। জানা গেছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ব্রিটিশ এমপির ভারতে যাওয়ার যাবতীয় উদ্যোগ নিয়েছেন। সেই সময়ে ঢাকা থেকে বেগম জিয়ার আইনজীবীরাও ভারতে যাবেন। লর্ডস অ্যালেক্স মনে করেন, বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। তাকে আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ দেওয়ার জন্য আবেদন জানাবেন তিনি। লর্ডস অ্যালেক্স জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকার তাকে ভিসা দিতে বিলম্ব করাতেই তিনি ভারতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি নিজেকে বেগম জিয়ার আন্তর্জাতিক আইনি পরামর্শক বলেও জানান। অবশ্য ব্রিটিশ এমপি ভারত যাওয়ার আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম জুলাই মাসে ভারত যাচ্ছেন। তিনি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব কালচার রিলেশনসের (আইসিসিআর) চেয়ারম্যান বিনয় সহস্রবুদ্ধের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সহস্রবুদ্ধ হলেন বিজেপির রাজ্যসভার সদস্য। নিউইয়র্ক প্রতিনিধি জানান, সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এবং খ্যাতনামা লেখক জেমস প্যাটারসনের যৌথভাবে লেখা ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ইজ মিসিং’ নামক একটি বই বিক্রি-বিষয়ক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় ‘বুক রিভ্যু’ নামক স্টোরে। গত মে মাসে আমাজনে এ বিষয়ে নোটিস দেওয়া হয়। বলা হয়, মাথাপিছু ৩০ ডলারের টিকিট ক্রয় করে ঢুকতে হবে ওই অনুষ্ঠানে, এরপর অটোগ্রাফসহ বই দেওয়া হবে। দেড় ঘণ্টার মধ্যে ৫০০ টিকিট বিক্রি হয়ে যায়।
প্রবেশমুখে ছিল দীর্ঘ লাইন। অতিক্রম করতে হয় সর্বোচ্চ নিরাপত্তাবেষ্টনী। সিক্রেট সার্ভিসের লোকজন বিভিন্নভাবে তল্লাশির পর মেটাল ডিটেক্টর দিয়েও পরখ করা হয় প্রত্যেক টিকিটধারীকে। এরপর যথারীতি লাইন দিয়েই বই হাতে ক্লিনটনের টেবিলে পৌঁছান সবাই। অংশ নেওয়া প্রত্যেকেই তাকে শ্রদ্ধা জানান এবং হাসিমুখে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ক্লিনটন নিজে থেকেও অনেকের কাছে নানান কিছু জানতে চান। সেখানেই বাংলাদেশি-আমেরিকান গোলাম ফারুক শাহীন তার কেনা বইয়ে অটোগ্রাফ সংগ্রহ ও শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গিয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। বেগম খালেদা জিয়ার কথা উল্লেখ করতেই তিনি মন্তব্য করেন, আমি জানি সবকিছু। ওয়ার্ল্ড পলিটিক্স ইজ নাউ ডিফিকাল্ট। পরে গোলাম ফারুক শাহীন ক্লিনটনকে বলেন, ‘৭৫ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে নেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলায় জড়িয়ে। মানবিক কারণেও তাকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। একটি মামলায় জামিন হলে আরেকটি দাঁড় করানো হচ্ছে। পরে এ বিষয়গুলো শুনলেও কোনো মন্তব্য করেননি ক্লিনটন। চুপচাপ শাহীনের বইয়ে অটোগ্রাফ দেওয়া শেষ করেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জানা যায়, ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ইজ মিসিং’ বইতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতির টালমাটাল অবস্থার বর্ণনা করে ট্রাম্প-অস্থিরতা কীভাবে বিশ্বকে গ্রাস করছে তা তুলে ধরা হয়েছে। এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র যে একজন দক্ষ প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতি বোধ করছে তাই তুলে ধরা হয়েছে বইয়ে।

Friday 10 August 2018

আঘাত করে চোখ নষ্ট করতে চেয়েছিল যৌতুক লোভী স্বামী l

রেশমা আক্তার,পিতা মৃতঃ মিজানুর রহমান,গ্রামঃ গোড়াগ্রাম,পোস্টঃ হাদারপার বাজার,ইউ,পিঃ রুস্তমপুর,থানা গোয়াইনঘাট।

আমিনুল হক,পিতাঃ আকবর আলী,গ্রামঃ গোড়াগ্রাম,পোস্টঃ হাদারপার বাজার,ইউ,পিঃ রুস্তমপুর,থানাঃ গোয়াইনঘাট।

আনুমানিক ৯ মাস আগে রেশমা বেগম আর তাদের একই গ্রামের বাসিন্দা আলী আকবরের ছেলে আমিনুল হকের উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয়।বিয়ের পর মাস খানেক সময় ভালো কাটলেও পরবর্তীতে শুরু হয় রেশমার সংসার জীবনে অশান্তি।

এই অশান্তির মূল কারণ যৌতুক,রেশমার স্বামী তাকে প্রতিনিয়ত বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য বলতো।রেশমা টাকা আনতে অক্ষম হলেই শুরু হত অমানবিক অত্যাচার।অবশেষে মেয়ের অশান্তি সহ্য করতে না পেরে রেশমার স্বামী হারা মা তারা মেয়ে জামাইকে অনেক কষ্ট করে ৫০ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হয়।

কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই রেশমার উপর পুনরায় নির্যাতন শুরু হয়।তার শশুর বাড়ির লোকেরা আরও মোটা অংকের টাকা দাবি করে,যা রেশমার মায়ের পক্ষে দেওয়া কোনভাবেই সম্ভব না।

কিন্তু রেশমার স্বামীর করা হুশিয়ারী,টাকা এনে দিতে না পারলে প্রাণে মরতে হবে।যেই কথা সেই কাজ,গত ০৬/০৮/২০১৮ ইং সকাল আনুমানিক ৯ ঘটিকার সময় রেশমার স্বামী আমিনুল হক তাকে বেধরম মারধর শুরু করে।

সাথে আমিনুল হকের বাবা এবং বড়ভাই রেজাউল হক,তারা তিনজনই মিলে তাকে মারতে মারতে এক পর্যায়ে বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর পারে নিয়ে যায়,প্রাণে মেরে ফেলার জন্য।

রেশমার দুটি চোখ নষ্ট করার জন্য তারা নানান ভাবে চোখে আঘাত করতে থাকে।কিন্তু অসহায় রেশমার কান্না করা ছাড়া আর কিছুই করার ছিলনা।রেশমার কান্না শুনে কয়েকজন প্রতিবেশী ছুটে আসে।যার ফলে প্রাণে বেচে যায় অসহায় রেশমা।

৭মাসের অন্তসত্ত্বা রেশমার কি দোষ ছিল,যার কারণে বিয়ের পর থেকেই তাকে অমানবিক অত্যাচার সহ্য করে বাচতে হচ্ছে?

রেশমা বর্তমানে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেলের ৪ তলার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে,
তার অবস্থা বর্তমানে খুবই গুরুতর।

আমি তোমাকে বিয়ে করি নাই! বিয়ে করেছি তোমার সরকারী চাকরি কে !!

স্টাফ রিপোর্টারঃ নীলফামারীর সৈয়দপুরে স্ত্রীর বেতনের টাকা নিজের কুক্ষিগত করতে না পেরে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকাকে স্বামী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বেদম মারধর করেছে বলে অভিযোগ মিলেছে। নির্যাতনের শিকার শিক্ষিকার নাম মোছা. সামসুন্নাহার (২৯)। তিনি শহরের ফ্রি আমিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত। এবং শহরের ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক রকিব উদ্দিন শাহ্ এর স্ত্রী। স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বর্তমানে তিনি সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষিকার সাথে কথা বলে জানা যায়, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ৯ তারিখ উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউপির খোর্দ্দ বোতলাগাড়ি গ্রামের মোহাম্মদ আলী শাহ্-এর ছেলে রকিব উদ্দিন শাহ-এর সাথে সামসুন্নাহারের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের আগে থেকেই সামসুন্নাহার ও রকিব দু’জনই শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। বিয়ের পর ভালই চলছিল তাদের সংসার। সরকারী চাকুরিজীবি স্ত্রী প্রতি মাসে যে বেতন পান তা সামসুন্নাহারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টেই থাকতো। সাংসারিক প্রয়োজনে স্বামী চাইলে তিনি স্বামীকে তা দিতেন। কিন্তু বিয়ের দু’মাস না যেতেই রকিব তার স্ত্রীর বেতনের টাকা আলাদা অ্যাকাউন্টে না রেখে নিজের অ্যাকাউন্টে রাখতে বলেন। কিন্তু সামসুন্নাহার তাতে রাজি না হলে রকিব টাকা উত্তোলনের জন্য সামসুন্নাহারকে চেক লিখে দিতে বলেন। সামসুন্নাহার রকিবকে একটি ব্লাংক চেকে স্বাক্ষর করে দিলে রকিব তার অ্যাকান্ট থেকে সব টাকা (৩০ হাজার) তুলে নেন। স্বামী বলে প্রথমে মেনে নেন সামসুন্নাহার। কিন্তু ধীরে ধীরে সামসুন্নাহারকে রকিব তার আসল রুপ চেনাতে শুরু করেন। প্রতি মাসের ৪ থেকে ৬ তারিখ বেতন হবার সময় হলে রকিব পুরো টাকাটাই তোলার জন্য সামসুন্নাহারকে চেক লিখে দিতে বলতেন। সামসুন্নাহার রাজি না হলে এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। এ কলহ থেকে প্রায়ই সামসুন্নাহারকে রকিব মারধর করতেন। সবশেষ গত ২ মে রাত ১১টার দিকে সামসুন্নাহারকে বেদম মারধর করেন রকিব। রকিবের মারের চোটে সামসুন্নাহার অজ্ঞান হয়ে গেলে তার স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সামসুন্নাহার জানান, আমার টাকা মানেই তো আমার স্বামীর (রকিব) টাকা। তাকে এত জোরাজুরি করে টাকা নিতে হবে কেন? সে আমাকে প্রায়ই বলে, আমি তো তোমাকে বিয়ে করি নাই! আমি তো তোমার সরকারী চাকুরিকে বিয়ে করেছি! অর্থের প্রতি একজন শিক্ষকের এত লোভ হয় কি করে? তাহলে তিনি ছাত্র-ছাত্রীকে কি শিক্ষা দেবেন? বলেই কাঁদতে থাকেন তিনি। হাসপাতালে সামসুন্নাহারের ভাই শিক্ষক মশিউর রহমান শাহ্ অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের তিন মাসের মাথায় সে (রকিব) আমার কাছে ৫লক্ষ টাকা চাইল। পরে আমি আমার বোনকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে সে বলল সে (সামসুন্নাহার) কিছু জানে না। তো আমার প্রশ্ন হলো, ভগ্নিপতিকে টাকা যদি দিতেই হয় তাহলে সেটা তো বোনের মাধ্যমে আসতে হবে? যে মানুষ সরাসরি সম্বন্ধীর (স্ত্রীর ভাই) কোছে সরাসরি টাকা চায় এবং সে কথা তার বউকে পর্যন্ত জানায় না তাহলে তার অর্থের প্রতি কি পরিমাণ লোভ থাকতে পারে? তিনি বলেন, টাকা না পেয়ে আমার বোনকে প্রায়শই সে নির্যাতন-নিপীড়ন করে। কোন ভাই-ই সেটা সহ্য করতে পারে না। তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেব। অভিযোগের ব্যাপারে কথা বলার জন্য শিক্ষক রকিবের সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মুঠোফোন ০১৭৪০৩০**২৩ নাম্বারে ফোন করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি ‘একটু পড়ে কথা বলবেন’ বলে ফোন কেটে দিয়ে তা বন্ধ করে দেন। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল  জানান, সৈয়দপুর থানায় অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

Thursday 9 August 2018

বিভিন্ন পদে ১১৬৬ জন নিয়োগ দেবে খাদ্য অধিদপ্তর

বিভিন্ন পদে ১১৬৬ জন লোক নিয়োগ দেবে খাদ্য অধিদপ্তর। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ওইসব পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করা যাবে ১৪ আগস্ট বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

উপখাদ্য পরিদর্শক, উচ্চমান সহকারী, অডিটর, হিসাবরক্ষক কাম ক্যাশিয়ার, সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর, সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে আবেদনের জন্য প্রার্থীকে যে কোনো বিষয়ে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিপ্রাপ্ত হতে হবে।

ল্যাব টেকনিশিয়ান পদে আবেদনের জন্য থাকতে হবে রসায়নসহ স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে আবেদনের জন্য থাকতে হবে সাঁটলিপিতে গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজি ৮০ শব্দ, বাংলা ৫০ শব্দ এবং কম্পিউটার মুদ্রণগতি ইংরেজি ৩০ এবং বাংলায় ২৫ শব্দ।

সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে সাঁটলিপি গতি থাকতে হবে প্রতি মিনিটে ইংরেজি ৭০ শব্দ, বাংলা ৪৫ শব্দ। এ ছাড়া কম্পিউটার মুদ্রণগতি থাকতে হবে ইংরেজি ৩০ শব্দ এবং বাংলায় ২৫ শব্দ।

ফোরম্যান পদে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং অটো মেকানিকস বা ইলেকট্রিক্যাল হাউস ওয়্যারিং বা ইলেকট্রিক্যাল লাইন মেইনটেন্যান্স বা ফার্ম মেশিনারি বা জেনারেল মেকানিকস বা মেশিনিস্ট বা মেইনটেন্যান্স অব ইলেকট্রিক্যাল ইকুইপমেন্ট বা জেনারেল ইলেকট্রিশিয়ান বা ইলেকট্রিশিয়ান বা ইলেকট্রিক্যাল মেশিন মেইনটেন্যান্স বা জেনারেল ইলেকট্রনিকস ট্রেড বিষয়ে সার্টিফিকেট কোর্স অথবা এই বিষয়গুলোর যে কোনো একটিসহ এসএসসি ভোকেশনাল সনদ এবং দুই বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

মেকানিক্যাল ফোরম্যান পদের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং অটো মেকানিকস বা ইলেকট্রিক্যাল হাউস ওয়্যারিং বা ফার্ম মেশিনারি বা জেনারেল মেকানিকস বা মেশিনিস্ট ট্রেড বিষয়ে সার্টিফিকেট কোর্স পাস অথবা এই বিষয়গুলোর যে কোনো একটিসহ এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং দুই বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে আবেদন করা যাবে সহকারী উপখাদ্য পরিদর্শক পদে। অপারেটর পদে বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিসহ ইলেকট্রিক্যাল বা মেকানিক্যাল যন্ত্রপাতি চালনার অভিজ্ঞতা, ইলেকট্রিশিয়ান ও ভেহিকল ইলেকট্রিশিয়ান পদে এসএসসি পাস এবং বৈদ্যুতিক ‘খ’ এবং ‘গ’ শ্রেণির কারিগরি পারমিট বা লাইসেন্সসহ দুই বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

সহকারী ফোরম্যান, মিলরাইট পদে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং অটো মেকানিকস বা ফার্ম মেশিনারি বা জেনারেল মেকানিকস বা মেশিনিস্ট বা ওয়েল্ডিং বা ডিজেল মেকানিকস বিষয়ে ট্রেড কোর্স সার্টিফিকেটধারী অথবা কারিগরি শিক্ষা বোর্ড হতে এই বিষয়গুলোর যে কোনো একটিসহ এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং সংশ্নিষ্ট কাজে কমপক্ষে তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং কম্পিউটার মুদ্রাক্ষর পরীক্ষায় প্রতি মিনিটে ইংরেজি ২০ এবং বাংলায় ২০ শব্দ গতি চাওয়া হয়েছে।

ডাটা এন্ট্রি/কন্ট্রোল অপারেটর পদে এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং কম্পিউটার মুদ্রাক্ষর পরীক্ষায় প্রতি মিনিটে ইংরেজি ৪০ এবং বাংলায় ৩০ শব্দের গতি থাকতে হবে। ল্যাবরেটরি সহকারী পদে বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, সহকারী অপারেটর ও স্টেভেডর সরদার পদে জেনারেল মেকানিকস বা ফার্ম মেশিনারি ট্রেড বিষয়ে এইচএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

ভেহিকল মেকানিক, সাইলো অপারেটিভ ও সহকারী মিলরাইট পদে জেনারেল মেকানিকস বা ফার্ম মেশিনারি ট্রেড বিষয়ে এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং সংশ্নিষ্ট ক্ষেত্রে কমপক্ষে দুই বছরের অভিজ্ঞ হতে হবে এবং এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে আবেদন করা যাবে স্প্রেম্যান পদে। তবে শারীরিক সক্ষমতাও থাকতে হবে এই পদে আবেদনের জন্য।

নিয়োগপ্রাপ্ত উপখাদ্য পরিদর্শক, সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর ১১ হাজার থেকে ২৬ হাজার ৫৯০ টাকা বেতন পাবেন। এ ছাড়া সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর, উচ্চমান সহকারী, অডিটর, হিসাবরক্ষক কাম ক্যাশিয়ার, ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান, ফোরম্যান, মেকানিক্যাল ফোরম্যান পদে নিয়োগপ্রাপ্তরা বেতন পাবেন ১০ হাজার ২০০ থেকে ২৪ হাজার ৬৮০ টাকা।

সিলেট থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে প্রথম হজ ফ্লাইট আজ!

সিলেট থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে এ বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট রওয়ানা দিবে আজ শুক্রবার। রাত দশটায় হজ ফ্লাইট আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল।
শুক্রবার পৌণে ছয়টার দিকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌছবেন তিনি। সেখান থেকে তিনি দরগাহ গেইটস্থ একটি অভিজাত হোটেলে অবস্থান করবেন।
রাত দশটায় তিনি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পবিত্র হজ ফ্লাইট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিবেন।
উল্লেখ্য, গত মাসের ১১ জুলাই শেখ হাসিনা হজ কার্যক্রম ২০১৮-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

শহিদুল আলমকে নির্যাতন করা হয়েছে কি না পরীক্ষার নির্দেশ

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় রিমান্ডে থাকা বিশিষ্ট আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে কি না তা ২০১৩ সালের নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের ২(৬) ধারা অনুসারে পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
স্বরাষ্ট্র সচিবকে আগামী সোমবারের মধ্যে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ওই প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ড. কামাল হোসেন, ড. শাহদীন মালিক। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
শুনানিতে ব্যারিস্টার সারা হোসেন আদালতকে বলেন, শহিদুল আলমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে যে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে সেখানে চারজন ডাক্তারের নাম আছে। তবে তাদের মধ্যে কোনো মনরোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন না। অথচ হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের ২(৬) ধারায় ‘নির্যাতন’ অর্থ কষ্ট হয় এমন ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনকে বোঝায়। এজন্য আমরা তাঁর মানসিক অবস্থাও পরীক্ষার আবেদন জানাচ্ছি।
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানিতে বলেন, এই রিট গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা, তাঁকে সঠিকভাবেই গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি কোনো ভিকটিম নন যে এই রিট চলতে পারে। এ সময় মোবাইল ফোন থেকে ডিবি কার্যালয়ে স্বাভাবিকভাবে শহিদুল আলমের হাঁটার ভিডিও আদালতে উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
এরপর সারা হোসেন আদালতকে বলেন, তাঁর (শহিদুল) মুখে ঘুষি মারা হয়েছে। তাঁর নাকের চারপাশে কী অবস্থা তা পরীক্ষা করে শারীরিক অবস্থা নির্ধারণ প্রয়োজন। এ ছাড়া, মানসিক পরীক্ষাও জরুরি। এরপর আদালত রিট আবেদনটি নিষ্পত্তি করে আদেশ দেন।
এর আগে শহিদুল আলমকে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাতদিনের রিমান্ড চ্যালেঞ্জ করে ও তাঁর সুচিকিৎসার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন তার স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ।
সেই রিটের শুনানি নিয়ে গত ৭ আগস্ট আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে রমনা থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে একটি বোর্ড গঠন করে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতাল শহিদুল আলমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে প্রতিবেদন দাখিল করেন। সেই প্রতিবেদনের ওপরই শুনানি হয়।
এর আগে রিমান্ড স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর শুনানির জন্য আগামী সোমবার দিন নির্ধারণ করেন আপিল বিভাগ।
দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলম নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন। ওই ঘটনায় রমনা থানার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। গত ৬ আগস্ট ডিবি (উত্তর) পরিদর্শক মেহেদী হাসান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের (পরিদর্শক) আরমান আলী। শহিদুল আলমের পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও জোতির্ময় বড়ুয়া রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। পরে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক শহিদুল আলমকে সাত দিনের রিমান্ডে রাখার আদেশ দেন।

লাইসেন্স না দেখে চালককে গাড়ি চালাতে দেওয়া ঠিক হয়নি

লাইসেন্স না দেখে গাড়ি চালাতে দেওয়া ঠিক হয়নি বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিলেন জাবালে নূর পরিবহনের বাসের মালিক শাহাদাত হোসেন।
রাজধানীর কুর্মিটোলার শহীদ রমিজ উদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই ছাত্রছাত্রী নিহতের ঘটনায় করা মামলায় শাহাদাত হোসেন আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম গোলাম নবীর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আদালতের সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, স্বীকারোক্তি শেষে শাহাদাত হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
এর আগে গতকাল বুধবার জাবালে নূর পরিবহনের বাসচালক মাসুম বিল্লাহ ইচ্ছাকৃত চাপা দেওয়ার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। মাসুম বিল্লাহর হালকা যানবাহন চালানোর লাইসেন্স ছিল। কিন্তু বাস চালানোর জন্য ভারী যানবাহন চালানোর লাইসেন্স ছিল না।
মাসুম বিল্লাহ স্বীকারোক্তিতে বলেন, জাবালে নূর বাসের (যার রেজি. নম্বর ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৯২৯৭) চালক আমি। ২৯ জুলাই জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারে ওঠার পর বেশি ভাড়া পাওয়ার আশায় আগে যাত্রী উঠানোর জন্য জাবালে নূরের আরেক বাসের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছিলাম। ফ্লাইওভারের নিচে নামার সময় দেখি সেখানে জাবালে নূরের আরেকটি বাস। তখন ফ্লাইওভারের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ১৪ থেকে ১৫ জন ছাত্রছাত্রীর ওপর ইচ্ছাকৃতভাবে গাড়ি উঠিয়ে দিয়ে তাদের গুরুতর জখম করি। এরপর আমি গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে যাই। আমার গাড়ির আঘাতেই রমিজ উদ্দিন কলেজের দুজন শিক্ষার্থী নিহত হয়। আট থেকে দশজন আহত হয়।
গত ১ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম এই মামলায় মাসুম বিল্লাহকে সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। আর ২ আগস্ট মালিক শাহাদাত হোসেনকে সাতদিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।
গত ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় কলেজশিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজিব নিহত ও আট থেকে দশজন আহত হয়। ওই ঘটনার পর থেকেই নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিমানবন্দর সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। পরে র্যাব দুর্ঘটনার জন্য দায়ী জাবালে নূর পরিবহনের তিনটি বাসের তিনজন চালক ও দুজন সহকারী এবং একটি বাসের মালিককে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার হওয়া অন্যরা হলেন বাসচালক জোবায়ের ও সোহাগ আলী, সহকারী এনায়েত হোসেন ও রিপন হোসেন এবং জাবালে নূর পরিবহনের বাসমালিক শাহাদাত হোসেন।

Wednesday 8 August 2018

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন দেখতে চায় জাপান

স্টাফ রিপোর্টার: গণতান্ত্রিক এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেখতে চায় জাপান। একই সঙ্গে বাংলাদেশে থাকা জাপানি নাগরিক এবং দেশটির বিনিয়োগের সুরক্ষাও চায় টোকিও।
১৪ ঘণ্টার সফরে মঙ্গলবার ঢাকায় আসা জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনো তার সরকারের এমন আকাঙ্ক্ষার কথাই জানিয়ে গেছেন। এ সময় বাংলাদেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে বলেও দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
বাংলাদেশের তরফে তার কাছে দু’টি বিষয় চাওয়া হয়েছে তা হলো- হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় ভয়াবহ এবং নারকীয় সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে বাংলাদেশ ভ্রমণে জাপানি নাগরিকদের প্রতি দেশটির সরকার যে নিরাপত্তা সতর্কতা জারি রেখেছে তা শিথিল করা। দ্বিতীয়ত: সন্ত্রাস ও উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সর্বাত্মক লড়াইয়ে (অল অ্যাফোর্ট ফাইট) টোকিও’র আরো ঘনিষ্ঠ সহায়তা।
জাপানের মন্ত্রী এ দুটি বিষয়েই ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করে গেছেন। মিয়ানমার হয়ে বাংলাদেশে আসা জাপানি মন্ত্রী তারো কোনো রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে তার দেশের তরফে মিয়ানমারকে দেয়া ৫ দফা প্রস্তাব শেয়ার করে গেছেন।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে তার বৈঠক হয়েছে। উভয় বৈঠকেই তিনি টোকিও’র আকাঙ্ক্ষা ও অবস্থান তুলে ধরেন।
স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নে পাশে থাকা জাপান এখানে আরো বেশি বিনিয়োগ করতে চায়। কক্সবাজার জেলার মহেশখালীতে জাপানি সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন মাতারবাড়ি প্রকল্পের আশপাশের এলাকাগুলোতেই তারা বিনিয়োগে আগ্রহী।
সেটি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে জানিয়েছেন মন্ত্রী তারো কোনো। বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন- জাপানি মন্ত্রীর সফরটি সংক্ষিপ্ত হলেও এটি অত্যন্ত সফল এবং কার্যকর ছিল। কারণ সেখানে বাংলাদেশ নিয়ে জাপান এই মুহূর্তে কি ভাবছে তা তিনি স্পষ্ট করে গেছেন।
এ সফরের মধ্য দিয়ে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের কাতারে শামিল হতে যাওয়া বাংলাদেশের সঙ্গে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক যে আরো বিস্তৃত এবং গভীর করতে চায় জাপান সেটিও খোলাসা হয়েছে। এক কূটনীতিক বলেন- জাতীয় নির্বাচনের আগে এবং পরে বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ বিশেষত: রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চেয়ে জাপানের একান্ত চাওয়া সেটি স্পষ্ট করেছেন মন্ত্রী।
একই সঙ্গে তিনি আরো বেশি জাপানি বিনিয়োগের ইঙ্গিত দিয়ে গেছেন। জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের কাছে দু’টি বিষয়ে সমর্থন চেয়েছেন। প্রথমত জাপান এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক গ্রুপ থেকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য (অস্থায়ী) ২০২৩-২০২৪ মেয়াদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছে।
চলতি মেয়াদে জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদ থেকে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল।
ফলে জাপান এ অঞ্চল থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনো তার এবারের সফরে ফের বাংলাদেশের সমর্থন চেয়েছেন।
দ্বিতীয়ত ওয়ার্ল্ড এক্সপো-২০২৫ এ জাপান, রাশিয়া এবং আজারবাইজান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। নভেম্বরের মধ্যে ওই ভোটাভুটি হবে। এতেও বাংলাদেশের সমর্থন চেয়েছেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে ঢাকা দুটি নির্বাচনে সমর্থন প্রশ্নে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানা গেছে।

জকিগঞ্জে ১৮ হাজার পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক।

স্টাফ রিপোর্টারঃ জকিগঞ্জ থেকে ১৮ হাজার ৩৬৫ পিস ইয়াবাসহ মো. শামীম আহম্মেদ (৩২), নামের শীর্ষ ১ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।
বুধবার (০৮ আগস্ট) সকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে র‌্যাব-৯ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে জকিগঞ্জ থানাধীন মাছুম বাজার থেকে তাকে আটক করে। আটক মাদক ব্যবসায়ী স্থানীয় মাদারখাল গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে।
এ সময় তার কাছ থেকে মাদক বিক্রির নগদ আরো ২ লক্ষ ৫০ হাজার ৭০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। অভিযানে উদ্ধারকৃত ইয়াবার মূল্য আনুমানিক ৯১ লক্ষ ৮২ হাজার ৫০০ টাকা।
এদিকে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে আরো দুই মাদক ব্যবসায়ী পালিয়ে যায়। তারা হলো- জকিগঞ্জের মাদারখাল গ্রামের মৃত মদ্রিছ আলীর ছেলে শাহাব উদ্দিন (৪৫) সিলেট নগরীর গোটাটিকর এলাকার মৃত মছদর আলীর ছেলে পারবান হোসেন (৩২)।
পলাতক দুজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে র‌্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান বলেন- আটককৃত ব্যক্তিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা সংঙ্ঘবদ্ধভাবে দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসা করে আসছিল।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও মাদক বিক্রয় লব্ধ টাকাসহ আটককৃত ব্যক্তিকে জকিগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিরীহ চেহারার এই গাছটি মাত্র ১৫ মিনিটেই হত্যা করতে পারে!

আহমদুল হক চৌধূরী বেলাল: গাছটিকে চেনা চেনা লাগছে, তাই না? অফিস, স্কুল বা বাড়িতে শখ করে লাগানো এই পাতাবাহারটি যে আদতে কি ভয়ংকর, তা আমরা ঘুণাক্ষরেও টের পাই না! এই গাছটির কারণে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন আপনি, এমনকি মারাও যেতে পারেন!
বাড়িতে পাতাবাহার জাতীয় গাছ রাখতে ভালোবাসেন অনেকেই। তবে গাছ রাখার আগে অবশ্যই জেনে নেওয়া প্রয়োজন গাছটি আমাদের কোনো ক্ষতি করতে সক্ষম কি না। বিশেষ করে বাসায় ছোট শিশু থাকলে অবশ্যই সাবধান হওয়া প্রয়োজন। এই যে গাছটির ছবি দেখছেন, তার পোশাকি নাম হলো Dieffenbachia এবং অফিস আদালতে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বারান্দা বা করিডোরে, এমনকি বাসাবাড়ির বারান্দাতেও একে দেখা যায়। সুন্দর এই গাছটি যে আসলে আমাদের ক্ষতি করতে সক্ষম তা আমরা কেউই জানি না।
একজন অভিভাবকের পরামর্শ হচ্ছে এটি, যে বাড়িতে ছোট বাচ্চা থাকলে আপনার উচিত হবে এদের ব্যাপারে জেনে নিয়েই এসব গাছকে বাসায় রাখা। কারণ তার ৩ বছর বয়সী কন্যাশিশু ভুল করে এই গাছের একটি পাতা গিলে ফেলে। এতে তার জিহ্বা ফুলে যায় এবং তার মৃত্যু ঘটে। সামান্য অসাবধানে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটতে পারে আপনার জীবনেও।
Dieffenbachia খুব সুন্দর একটি পাতাবাহার। এটাকে বাসায় রাখা তো উচিতই নয়, তার পাশাপাশি বাইরেও এই গাছ দেখলে বাচ্চাদেরকে এর কাছাকাছি যেতে দেবেন না। এর প্রভাব এতই খারাপ, যে এর যে কোনো অংশ খাওয়ার এক মিনিটের মাথায় একটি শিশুর মৃত্যু হতে পারে। প্রাপ্তবয়স্কদের মৃত্যু হতে পারে ১৫ মিনিটের মাঝে। এমনকি এই গাছ হাত দিয়ে ধরলে এবং এই হাত চোখে গেলে অন্ধত্বের সম্ভাবনা থাকে।
এই গাছ যদি আপনার ঘর বা প্রতিষ্ঠান থেকে সরাতে না চান বা সরানো সম্ভব নাও হয়, তাহলে এর চারপাশে বেড়া অথবা গ্রিল দিয়ে রাখুন যাতে বাচ্চারা এর পাতার নাগাল না পায়। এতে দুর্ঘটনা ঠেকানো সম্ভব হবে।

লিখেছেন- 
খায়রুন নাহার
স্নাতকোত্তর (শেষ বর্ষ)
শেরে বাংলা কৃষি

জকিগঞ্জের শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে ১০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

জকিগঞ্জ উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী সাইফুল ইসলাম উপজেলার ১৩৬টি বিদ্যালয়ের স্লিপের মালামাল ক্রয়ে অনিয়ম,স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির মাধ্যমে ১০ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে ৬ আগস্ট সোমবার বারঠাকুরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, উত্তরকুল ও মনসুর উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মহসিন মর্তুজা চৌধুরী টিপু ও আমলসীদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডা. বিভাকর দেশমুখ্য জকিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের স্লিপের মালামাল ক্রয়ের জন্য ঢাকার একটি কোম্পানীর সাথে যোগাযোগ করে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম জকিগঞ্জ উপজেলার ৬টি ক্লাস্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষা অফিসার মো: আশরাফুল আলম সিরাজী, বীরেন চন্দ্র দাস ও জোবায়ের আহমদের মাধ্যমে ভয়ভীতি দেখিয়ে কৌশলে প্রতিটি বিদ্যালয়ের জন্য ক্ষুদে ডাক্তারের ১৫টি এপ্রোণ ও ১২ সেট কাব ড্রেস বাবৎ ১০ হাজার ৫শ টাকা করে আদায় করেন। বিদ্যালয় ব্যববস্থাপনা কমিটি, স্লিপ কমিটি, ও সামাজিক নিরীক্ষা কমিটি না জানিয়ে নিম্নমানের মালামাল ক্রয় করে ১৩৬টি বিদ্যালয় থেকে কমপক্ষে স্লিপ থেকে ৮ লক্ষ ১৬ হাজার টাকার ড্রেস বাণিজ্য করেছেন। স্লিপের অডিটের নামে ১৩৬টি বিদ্যালয় থেকে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সহকারী শিক্ষা অফিসারদের মাধ্যমে ১ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। চলতি বছরের জুলাই মাসে শিক্ষকদের ইনক্রিমেন্ট এর অনলাইন ফিক্সেশনের জন্য শিক্ষক প্রতি ৫০ টাকা করে প্রায় ৮শ শিক্ষকের নিকট থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়েছেন। তাছাড়া ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ৫টি বিদ্যালয়ের বড় ধরনের মেরামতের টাকা থেকে ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করেছেন। একই অর্থ বছরে ৪৫টি বিদ্যালয়ে রুটিন মেইনটেইনের টাকা থেকে ১০০০ টাকা করে ৪৫ হাজার টাকা নগদ ঘুষ নেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, দুর্নীতি দমন কমিশন,প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন দপ্তরে দরখাস্তের অনুলিপি প্রদান করা হয়েছে। অভিযোগের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে অভিযুক্ত শিক্ষা অফিসার কাজী সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের বিষয় সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ তাপাদার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জুড়ী থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন

জুড়ী থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যেগদান করেছেন জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি ৩ আগস্ট শুক্রবার জুড়ী থানায় যোগদান করেন। এর আগে তিনি সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় কর্মরত ছিলেন।
জাহাঙ্গীর হোসেন ১৯৮৯ সালে সাব ইন্সপেক্টর হিসেবে পুলিশে যোগদান করে ২০১৫ সালে ওসি হিসেবে পদোন্নতি পান। শরীয়তপুর জেলার নরিয়া থানার লৌনসিং গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন বিবাহিত জীবনে দু’কন্যা সন্তানের জনক। তাঁর বড় মেয়ে ওমেন্স মেডিকেলের ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী এবং ছোট মেয়ে আনন্দ নিকেতনের ইংরেজী বিভাগের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী।
জুড়ী থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন ৫ আগস্ট রোববার রাত ৮টায় তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় করেন। তিনি জুড়ী থানাকে চোর-ডাকাত, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত করে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেছেন। যে কোন বিষয়ে যথা সময়ে সাংবাদিকদের সঠিক তথ্য প্রদানের তিনি আশ্বাস দেন। –
 বিজ্ঞপ্তি

জকিগঞ্জ অনলাইন নিউজ

ভয়ংকর নারী প্রতারক জাহেদা আক্তার পপি আটক

স্টাফ রিপোর্টারঃ   জকিগঞ্জে সুলতানপুর ইউনিয়নের বাদেজমা গ্রাম থেকে স্থানীয়রা এক ভয়ংকর নারী প্রতারককে আটক করে মঙ্গলবার পুলিশের কাছে সোপর্দ ক...