Friday, 10 August 2018

আঘাত করে চোখ নষ্ট করতে চেয়েছিল যৌতুক লোভী স্বামী l

রেশমা আক্তার,পিতা মৃতঃ মিজানুর রহমান,গ্রামঃ গোড়াগ্রাম,পোস্টঃ হাদারপার বাজার,ইউ,পিঃ রুস্তমপুর,থানা গোয়াইনঘাট।

আমিনুল হক,পিতাঃ আকবর আলী,গ্রামঃ গোড়াগ্রাম,পোস্টঃ হাদারপার বাজার,ইউ,পিঃ রুস্তমপুর,থানাঃ গোয়াইনঘাট।

আনুমানিক ৯ মাস আগে রেশমা বেগম আর তাদের একই গ্রামের বাসিন্দা আলী আকবরের ছেলে আমিনুল হকের উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয়।বিয়ের পর মাস খানেক সময় ভালো কাটলেও পরবর্তীতে শুরু হয় রেশমার সংসার জীবনে অশান্তি।

এই অশান্তির মূল কারণ যৌতুক,রেশমার স্বামী তাকে প্রতিনিয়ত বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য বলতো।রেশমা টাকা আনতে অক্ষম হলেই শুরু হত অমানবিক অত্যাচার।অবশেষে মেয়ের অশান্তি সহ্য করতে না পেরে রেশমার স্বামী হারা মা তারা মেয়ে জামাইকে অনেক কষ্ট করে ৫০ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হয়।

কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই রেশমার উপর পুনরায় নির্যাতন শুরু হয়।তার শশুর বাড়ির লোকেরা আরও মোটা অংকের টাকা দাবি করে,যা রেশমার মায়ের পক্ষে দেওয়া কোনভাবেই সম্ভব না।

কিন্তু রেশমার স্বামীর করা হুশিয়ারী,টাকা এনে দিতে না পারলে প্রাণে মরতে হবে।যেই কথা সেই কাজ,গত ০৬/০৮/২০১৮ ইং সকাল আনুমানিক ৯ ঘটিকার সময় রেশমার স্বামী আমিনুল হক তাকে বেধরম মারধর শুরু করে।

সাথে আমিনুল হকের বাবা এবং বড়ভাই রেজাউল হক,তারা তিনজনই মিলে তাকে মারতে মারতে এক পর্যায়ে বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর পারে নিয়ে যায়,প্রাণে মেরে ফেলার জন্য।

রেশমার দুটি চোখ নষ্ট করার জন্য তারা নানান ভাবে চোখে আঘাত করতে থাকে।কিন্তু অসহায় রেশমার কান্না করা ছাড়া আর কিছুই করার ছিলনা।রেশমার কান্না শুনে কয়েকজন প্রতিবেশী ছুটে আসে।যার ফলে প্রাণে বেচে যায় অসহায় রেশমা।

৭মাসের অন্তসত্ত্বা রেশমার কি দোষ ছিল,যার কারণে বিয়ের পর থেকেই তাকে অমানবিক অত্যাচার সহ্য করে বাচতে হচ্ছে?

রেশমা বর্তমানে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেলের ৪ তলার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে,
তার অবস্থা বর্তমানে খুবই গুরুতর।

No comments:

Post a Comment

জকিগঞ্জ অনলাইন নিউজ

ভয়ংকর নারী প্রতারক জাহেদা আক্তার পপি আটক

স্টাফ রিপোর্টারঃ   জকিগঞ্জে সুলতানপুর ইউনিয়নের বাদেজমা গ্রাম থেকে স্থানীয়রা এক ভয়ংকর নারী প্রতারককে আটক করে মঙ্গলবার পুলিশের কাছে সোপর্দ ক...