Sunday 29 July 2018

বিকাশে সহজেই পল্লী বিদ্যুতের বিল পরিশোধ

এখন থেকে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা তাদের বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে যেকোন স্থান থেকে যেকোন সময় বিল পরিশোধ করতে পারবেন।
সারাদেশে পল্লী বিদ্যুতের দুই কোটিরও বেশি গ্রাহকের বিল পরিশোধ ঝামেলামুক্ত, সহজ, সাশ্রয়ী এবং নিরাপদ করতে আজ দেশের বৃহত্তম মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টেলিটকের কারিগরি সহায়তায় ‘ পে বিল’ সেবা চালু করেছে। কেবল বিল পরিশোধই নয় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা বিদ্যুৎ বিলের পরিমানও তাদের বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে চেক করতে পারবেন।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গত ৯ জুলাই ২০১৮ তারিখে এক অনুষ্ঠানে এ সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন টেলিটকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোঃ সাহাব উদ্দিন, বিকাশের চিফ কর্মশিয়াল অফিসার মিজানুর রশীদ এবং চিফ এক্সর্টানাল অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মোঃ মনিরুল ইসলাম (অবঃ)।
২ কোটিরও বেশি গ্রাহক নিয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিতরণ প্রতিষ্ঠান এবং এর প্রায় সকল গ্রাহকই গ্রামে ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করেন, যেখানে আবার বানিজ্যিক ব্যাংকের শাখা খুবই সীমিত বা নেই বললেই চলে। বিকাশের মাধ্যমে বিল পরিশোধের সুবিধার কারণে এখন আর পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের আলাদা করে সময় ও সুযোগ বের করে ব্যাংক বা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসে গিয়ে বিল পরিশোধের ঝামেলা পোহাতে হবে না। দিনে রাতে যেকোন সময় যেকোন স্থান থেকে সহজেই এখন তারা বিল পরিশোধ করতে পারবেন।
মোস্তাফা জব্বার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন,সহজ ও নিরাপদ লেনদেনের জন্য সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা চালু করে একটি ‘ক্যাশলেস সোসাইটি’ গড়ার প্রয়াস চালাচ্ছেন। টেলিটকের কারিগরি সহায়তায় বিকাশের মাধ্যমে পে বিল’র মত ডিজিটাল পেমেন্ট এই প্রক্রিয়াকে আরো গতিশীল করবে।
মোঃ সাহাব উদ্দিন বলেন, গ্রাহকদের বিল পরিশোধ সেবায় বিকাশকে টেলিটকের সঙ্গী হিসেবে পেয়ে আমরা খুশি। এই পদক্ষেপ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
বিকাশের চিফ কর্মশিয়াল অফিসার মিজানুর রশীদ বলেন, এই সেবার কল্যাণে গ্রাহকরা সহজে ও সাচ্ছন্দ্যে তাদের ঘরে বসেই বিল দিতে পারবে।বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য তাদের এখন থেকে আর দূরে কোথাও যেতে হবে না।
তিনি আরো বলেন, বিকাশ অন্যান্য ইউটিলিটি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের বিল প্রদান সেবা সহজ, খরচ সাশ্রয়ী এবং ঝামেলামুক্ত করতে তাদের সাথে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী।
বিল পরিশোধ করতে গ্রাহককে *২৪৭# ডায়াল করে মেন্যু থেকে ৫ নম্বর ‘পে বিল’ নির্বাচন করতে হবে। এরপর কিছু ইন্টারঅ্যাকটিভ ধাপ অনুসরণ করে বিল পরিশোধ সম্পন্ন করা যাবে।
শুরুতে বিকাশ এর ইউএসএসডি মেনু থেকে এই সেবা নেয়া যাবে। পরবর্তীতে বিল পেমেন্ট সেবাটি বিকাশ অ্যাপেও অর্ন্তভুক্ত হবে।
২০১১ সালে কার্যক্রম শুরু করা বিকাশ লিমিটেড ব্যাংকিং সেবা বহির্ভূত বাংলাদেশের একটি বিশাল জনগোষ্ঠিকে নানা ধরনের মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস দিয়ে আসছে। বিকাশ- ব্র্যাক ব্যাংক, ইউএস ভিত্তিক মানি ইন মোশন, ওর্য়াল্ড ব্যাংক এর অর্ন্তগত প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশন, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং চীনের আলিবাবা গ্রুপের অ্যাফিলিয়েট অ্যান্ট ফিনান্সিয়াল (আলীপে)-এর যৌথ মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান।

Saturday 28 July 2018

আবারো ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন করে আরও ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। ঈদের পরই এ সংক্রান্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সূত্রে জানা যায়, সারাদেশে বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৪ হাজার ৮২০টি। এর মধ্যে প্রায় ২০ হাজার স্কুলে প্রধান শিক্ষক নেই। এছাড়া সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ২০ হাজারেরও বেশি। এসব শূন্য পদ পূরণে রাজস্ব খাতে নতুন করে ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।
জানা গেছে, চলমান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। নতুন করে আরও ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে শূন্য পদ পূরণ করা হবে। নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জুনের শেষের দিকে প্রকাশ করা হবে। সম্প্রতি ডিপিই এক সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
অধিদফতর সূত্র আরও জানায়, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) আওতায় রাজস্ব খাতে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন, অতিরিক্ত ক্লাসরুম তৈরি, প্রাথমিক পর্যায়ের স্কুলগুলো অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করা হবে। এসব বিদ্যালয়ে শূন্য শিক্ষক পদ, প্রয়োজন অনুযায়ী সৃষ্ট পদ, প্রাক-প্রাথমিক স্তর মিলিয়ে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেড় লাখের বেশি শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।

৫০ লক্ষ টাকার ইয়াবাসহ জকিগঞ্জের দুই যুবক গ্রেফতার_শ্রীরামপুর।


স্টাফ রিপোর্টারঃ শুক্রুবার (২৭ জুলাই) সিলেটের মোগলা বাজার থানার শ্রীরামপুর বাজার থেকে ৫০ লক্ষ টাকার অধিক মুল্যমানের ১০ হাজার ২৫ পিস ইয়াবাসহ দুই শীর্ষ মাদক সম্রাটকে আটক করেছে র‌্যাব-৯ এর একটি অভিযানিক দল। আটককৃত মাদক সম্রাটেরা হচ্ছে সিলেটের জকিগঞ্জ থানার পশ্চিম বেউর গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে মো: আব্দুস সামাদ (২৬) ও লোহার মহল গ্রামের সেলিম আহমদের ছেলে জাহেদ আহমদ(২১)।
র‌্যাব জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৯ জানতে পারে কতিপয় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী বিপুল পরিমান ইয়াবার চালান নিয়ে একটি নির্দিষ্ট সিএনজি যোগে জকিগঞ্জ সীমান্ত এলাকা থেকে সিলেটের দিকে যাচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে সদর কোম্পানী সিলেট ক্যাম্পের একটি অভিযানিক দল মোগলা বাজার থানাধীন শ্রীরামপুর চৌমুহনি বাজারস্থ যাত্রী ছাউনির সামনে অবস্থান নিয়ে বিকাল সাড়ে চার ঘটিকার সময় যাত্রী ছাউনির সামনে একটি সন্দেহভাজন সিএনজিকে থামার সংকেত দিলে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সিএনজিতে যাত্রী বেশে থাকা ৪ জন মাদক ব্যবসায়ী কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এসময় দুজন মাদক ব্যবসায়ী কৌশলে পালিয়ে গেলেও পালানোর সময় অপর দুজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করতে সক্ষম হয় র‌্যাব-৯ এর সদস্যরা। এরপর সন্দেহভাজন সিএনজিটিতে তল্লাশী চালিয়ে সিএনজির টুল বক্সের ভিতের লুকিয়ে রাখা ১০ হাজার ২৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় র‌্যাব। উদ্ধারকৃত ইয়ার আনুমানিক মুল ৫০লক্ষ ১২হাজার পাঁচশত টাকা বলে জানিয়েছে আটকৃত মাদক ব্যবসায়ীরা। এছাড়া পালিয়ে যাওয়া দুজন মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে একজন সিলেটের জকিগঞ্জ থানার মৃত ছানুয়ার আলী @ ছানাই এর ছেলে বদরুল হক (বদু) এবং অপরজন সিলেটের মোগলা বাজার থানার গোটাটিকর, ব্লক-বি, রোড নং-৪ বাসানং- ১৪ এর বাসিন্দা মৃত মছদ্দর আলীর ছেলে পারবান হোসেন (৩২) বলে জানা যায়। পালিয়ে যাওয়া মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব-৯।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীরা র‌্যাব কাছে স্বীকার করে তারা একটি সংঘবদ্ধ মাদক সিন্ডিকেটের সদস্য। তারা দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে তাদের গড়ে তোলা নেটওর্য়াকের মাধ্যমে মজুদ ও অভিনব কৌশলে বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে থাকে। উদ্ধারকৃত মাদক দ্রব্য, আটক সিএনজিসহ গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের মোগলা বাজার থানায় হস্তান্তরের কথা জানিয়েছেন র‌্যাব-৯ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক(মিডিয়া) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান।

বগুড়ায় এক মঞ্চে ১৩ নারীর কবিতা পাঠ

নাসরিন বেগম নাজ:: যতদিন মানুষ থাকবে, ততদিন থাকবে তার আবেগ, অনুভূতি, সংবেদনশীলতা, ততদিন থাকবে কবিতা। পৃথিবীতে অনেক জাতি, অনেক জনগোষ্ঠি আর তাদের ভাষাও ভিন্ন। কিন্তু অনুভূতির ভাষা এক ও অভিন্ন। হাসি-কান্নার কোন ভাষা লাগে না, ভাষা লাগে না সংগীতের, দুঃখের কোন ভাষা নেই। বিমূর্ত অনুভূতির সৎ ও মূর্ত প্রকাশই কবিতা। কবিতা তাই সমগ্র মানবজাতির মাতৃভাষা। আর এই সব বিষয়কে ধারণ করতেই শিল্প-সাহিত্য বিষয়ক ছোটকাগজ ‘দোআঁশ’ আয়োজন করে বগুড়ায় এক মঞ্চে ১৩ নারীর কবিতা পাঠের আয়োজন। গতকাল শুক্রবার বিকালে উডবার্ণ পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে বর্ষার পঙক্তিমালা শিরোনামে এই স্বরচিত কবিতা পাঠের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট কবি-প্রাবন্ধিক বজলুল করিম বাহার, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক কবি-গবেষক অনীক মাহমুদ। বর্ষার পঙক্তিমালায় অংশগ্রহণকারী কবিরা হলেন-কামরুন নাহার কুহেলী, এস এম সাথী বেগম, তিথি আফরোজ, আফসানা জাকিয়া, নাসরিন বেগম নাজ, রোমানা মেহের, অঞ্জলী রানী দেবী, সারমিন সীমা, মাহবুবা পারভীন, কুমকুম খাতুন, শ্যামলী বিনতে আমজাদ, রুমানা সারমিন এবং শুভ্রা সাহা। কবিদেরকে দোআঁশ এর পক্ষ থেকে উত্তরীয় এবং শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়। আয়োজনে পঠিত কবিতার উপর আলোচনা করেন কবি-প্রাবন্ধিক শোয়েব শাহরিয়ার। স্বরচিত কবিতা পাঠের পাশাপাশি ছিলো আবৃত্তি। আবৃত্তি পর্বে অংশগ্রহণ করেন শরীফ মজুমদার, অলোক পাল, আবু বকর ছিদ্দিক এবং শাহানুর আলম শাহিন।
আয়োজনের উদ্বোধনী পবে কবি-প্রাবন্ধিক মুহম্মদ শহীদুল্লাহ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কবি শিবলী মোকতাদির, সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচায্য শংকর, শিবগঞ্জ এম এইচ ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আমজাদ হোসেন মিন্টু। সমাপনী পর্বে দোআঁশ সম্পাদক ইসলাম রফিকের সভাপতিত্বে অনুিষ্ঠত সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তৌফিক হাসান ময়না, আত্রাই বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ কবি করিম মোহাম্মদ। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কবি কামরুন নাহার কুহেলী। উল্লেখ্য যে, দোআঁশ একটি ছোটকাগজ। ইসলাম রফিকের সম্পাদনায় এই কাগজটি ২০০১ সাল থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে।

ছাতকে ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী নিখোঁজ_অপেক্ষার প্রহর গুনছে পরিবার।


ডেস্ক নিউজ: ছাতকে সাইদা জান্নাত অনিয়া(১২) নামের এক স্কুল ছাত্রী 3 দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। বৃহস্পতিবার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে সে নিখোঁজ হয়। সাইদা জান্নাত অনিয়া উপজেলার উত্তর খুরমা  ইউনিয়নের আমেরতল গ্রামের হাফিজ হারুন অর রশিদের কন্যা ও ছাতক শহরের চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী। নিখোঁজ অনিয়ার পরিবার বর্তমানে শহরের ক্লাব রোড এলাকার একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছে। এ ব্যাপারে নিখোঁজ অনিয়ার মা লছনু বেগম চৌধুরী বৃহস্পতিবার রাতে ছাতক থানায় একটি জিডি(নং-১১১৬)এ ন্ট্রি করেছেন। জিডি সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার শহরের বাসা থেকে বিদ্যালয়ে যায় অনিয়া। বিদ্যালয় ছুটি হলে সে আর বাসায় ফিরেনি। পরিবারের লোকজন বিদ্যালয়ে গিয়ে তার হাজিরা নিশ্চিত জেনে সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজিসহ শহরে মাইকিং করেও তার কোন সন্ধান পায়নি। অনিয়ার পরিবার তার ফিরে আসার (মোবাঃ ০১৭২৭-৫২১২৫৩) অপেক্ষার প্রহর গুনছে।

রক্তাভ চাঁদ' এর মহাজাগতিক বিস্ময়ে মুগ্ধ জগতবাসী।

শুক্রবার দিবাগত রাতটি ছিলো শিহরন জাগানো অভাবনীয় মহাজাগতিক রাত। ভরা পূর্নিমায় আকাশের বুকে জগতের কোটি কোটি মানুষ অবলোকন করেছেন একুশ শতাব্দীর এক বিরল আশ্চর্য দৃশ্যমালা। দীর্ঘ চন্দ্রগ্রহণকালে ধবল জোছনার বদলে রক্তের মতো টকটকে লাল চাঁদ ছড়িয়েছে ’রক্তাভ জোছনা’। এই রাতটা ছিলো অন্যরকম। এক অপার্থিব অভিজ্ঞতার সাক্ষী হলো বেশুমার মানুষ। সন্ধ্যাকাশে চাঁদ উদিত হওয়ার পর ঘুরতে ঘুরতে প্রবেশ করে একেবারে পৃথিবীর ছায়ার মধ্যে। অতপর গ্রহণস্পর্শ তাকে
গ্রাস করতে থাকে। টানা ১ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট ধরে চাঁদের মুখ ঢেকে যায় সম্পূর্ণ। তার আগে ১ ঘণ্টা ৬ মিনিট ধরে চলে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ। আবার পূর্ণগ্রাস হয়ে যাওয়ার পর শুরু হয় আংশিক গ্রহণ, যা চলে আরও ১ ঘণ্টা ৬ মিনিট ধরে। এই দীর্ঘতম পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ বাংলাদেশের আকাশেও যেখানে মেঘমুক্ত ছিল সেখান থেকে অবলোকন করা গেছে। তবে সজল সঘন মেঘমালা ছাওয়া ঢাকার আকাশে দেখা যায়নি চন্দ্রগ্রহণ। গ্রিনিচ মান সময় রাত ৮টা ২১ মিনিটে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শুরু হয় এই গ্রহণ। বিভিন্ন দেশের মানুষ রীতিমত উৎসবের আমেজেএই ব্লাডমুন দেখার আয়োজন করে।

নাসা’র তথ্য মতে,শুধু গ্রহণ হওয়াই নয়, চাঁদ সূর্যের আলো বিকিরণ করে লাল হয়ে যায়। গত প্রায় ৬০ হাজার বছরের মধ্যে দ্বিতীয় বার পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসা ‘লাল গ্রহ’ মঙ্গলকে রাতের আকাশে অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়ে উঠতে দেখা যায়। কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবীকে মাঝখানে রেখে সূর্যের ঠিক উল্টো দিকে চলে যায় মঙ্গল, আর ১০০ বছরের মধ্যে যেখানে ‘উপনিবেশ’ বানানোর প্রস্তুতি শুরু
হয়ে গিয়েছে মানবসভ্যতার।
 যদিও ‘লাল গ্রহ’ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসবে ৩১ জুলাই, আগামী মঙ্গলবার। সেদিন পৃথিবী থেকে মঙ্গলের দূরত্ব হবে প্রায় পাঁচ কোটি ৭৬ লক্ষ কিলোমিটার। প্রতিবেশী দেশ ভারতে ২০১৯ সালের ১৭ জুলাই একটি চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে, তবে তা আংশিক। ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি হবে আরও একটি পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। তবে তা উপমহাদেশ থেকে দেখা যাবে না। আগামী ৯ জুন ২১২৩ সালে এর থেকে বড় চন্দ্রগ্রহণ হবে। সেই সময় পৃথিবী থেকে সবথেকে দূরে থাকবে চাঁদ। এর ফলে সাধারণ দিনের থেকে চাঁদের আকার একটু ছোট হয়ে যাবে।
 চাঁদের এই ছোট হয়ে যাওয়ার ঘটনাকে ‘মাইক্রো মুন’ বলা হয়। পৃথিবীর সব জায়গা থেকে এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যায়নি। উত্তর ও দণি আমেরিকার মানুষ এই গ্রহণ দেখতে পারেনি। আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, ভারত,বাংলাদেশ,অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপের কিছু দেশ থেকে দেখা গেছে চাদের এই বিস্ময়কর দৃশ্য। সবচেয়ে ভালো দেখা যায় আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলের কিছু এলাকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং সেন্ট্রাল এশিয়া থেকে। ৎ
 এর আগে এত বেশিক্ষণ ধরে চন্দ্রগ্রহণ এই শতাব্দীতে কোনও দিন হয়নি। এর আগের দীর্ঘ চন্দ্রগ্রহণ হয় ২০১১ সালের ১৫ জুন । সেটা ১০০ মিনিট স্থায়ী হয়েছিল। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর, জলবায়ু মহাশাখার প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী গতক্রার শুক্রবার রাত ১১ টা ১৩ মিনিট ০৬ সেকেন্ড গ্রহণটি শুরু হয়। শেষ রাত ২ টা ২১ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড কেন্দ্রীয় গ্রহণ ঘটে। গ্রহণটির সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ১.৬১৪। গ্রহণটির সর্বশেষ পর্যায় সমাপ্ত হয় ভোর ৫ টা ৩০ মিনিটে।
 ঢাকার বিজ্ঞান জাদুঘর দর্শনার্থীদের জন্য চন্দ্রগ্রহণ দেখার আয়োজন করে। রাত সাড়ে ১০টা থেকে জাদুঘর উন্মুক্ত রাখা হয়। আয়োজন করা হয় প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী ও সেমিনারের।
 জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীকে কেন্দ্র করে উপবৃত্তাকার (অনেকটা ডিমের মতো) কক্ষপথে পাক খায় চাঁদ। পৃথিবীকে এক বার পাক খেতে তার গড়ে সময় লাগে সাড়ে ২৭ দিন। এই সাড়ে ২৭ দিনের মধ্যে চাঁদ এক বার পৃথিবীর কাছে চলে আসে আর তার পরে দূরে চলে যায়। দূরত্বটা যখন সব থেকে কমে যায়, সেটাকে বলে ‘অনুভূ’ (এপিজে) অবস্থান। আর পৃথিবী ও চাঁদ যখন একে অন্যের থেকে সবচেয়ে বেশি দূরে থাকে, সেই অবস্থানকে বলে ‘অপভূ’ (অ্যাপোজে) অবস্থান।
 শুক্রবার সেই ‘অ্যাপোজে’-তেই ছিলো চাঁদ ও পৃথিবী। একই সরল রেখায় ছিলো চাঁদ, সূর্য আর পৃথিবী। চাঁদ আর পৃথিবী কারওই নিজের আলো নেই। সূর্যের আলোতেই তারা আলোকিত হয়। সূর্য আর চাঁদের মাঝে তাই পৃথিবী এসে পড়লে মুখ ঢেকে যায় চাঁদের। হয় চন্দ্রগ্রহণ। চেহারায় বড় কোনও বস্তুর সামনে কোনও বস্তু এসে পড়লে ছায়ার দু’টি এলাকা তৈরি হয়-প্রচ্ছায়া আর উপচ্ছায়া। সূর্যের আলো পৃথিবীর উপর পড়লে তেমনই একটি প্রচ্ছায়া কোণ তৈরি হয়। পৃথিবীকে অতিক্রম করতে করতে কোণের মাঝামাঝি অংশ দিয়ে চাঁদ অতিক্রম করলে তখন চাঁদের গতি মন্থর হয়ে যায়। পৃথিবীকে অতিক্রম করতে বেশি সময় লাগে। তাই দীর্ঘতম হয় এই চন্দ্রগ্রহণ।
 বিবিসি বাংলা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের ভাষ্য উদ্বৃতি করে জানায়, সূর্যের আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ছুঁয়ে ছড়িয়ে যায়, সেই আলো আবার পৃথিবীতে আসার পথে অন্য সব রঙ হারিয়ে লাল রঙটি এসে আমাদের চোখে পৌঁছায়, কারণ এই রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি। আর এ কারণে চাঁদ অনেকটা 'রক্তিম' দেখায়, তাই এটাকে 'ব্লাড মুন' বলা হয়। এদিকে এই রক্তাক্ত চাঁদ নিয়ে বহু অলিক কাহিনী ছড়িয়ে আছে! বাইবেলে কেয়ামত এর অন্যতম আলামত হিসেবে বলা আছে, ‘সূর্য আলোহীন হয়ে পড়বে আর চাঁদ গাঢ রক্ত বর্ণ ধারণ করবে।
 এছাড়া বিভিন্ন ডাকিনীতন্ত্রের ধর্মমত গুলো- যেমন উইকা বা আরাদিয়ার অনুসারীরা, যারা চন্দ্রদেবী ডায়নার পূজা করে থাকে তাদের জন্যে এই ব্লাড মুন বা রক্ত জোছনা খুব গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় আচার পালনের রাত। তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী এই রাতে যারা জন্ম গ্রহণকরে তারা বিশেষ আধ্যাত্মিক মতার অধিকারী হয়। হিব্রু বাইবেলের ‘বুক অফ জোয়েল’-এর বর্ণনা থেকে ব্লাড মুন বা রক্তবর্ণ চাঁদ নিয়ে বিস্তর ভবিষ্যদ্বাণী প্রচলিত। তার মধ্যে বেশির ভাগটাই প্রলয় সংক্রান্ত।
 তবে এর বাইরেও কিছু অন্য বিপর্যয়ের কথা বলে লোকবিশ্বাস। রক্ত চাঁদের দিন নাকি ভ্যাম্পায়াররা প্রবল সক্রিয় হয়ে ওঠে আর এদিন তারা নতুন জীবনীশক্তি লাভ করে।  গ্রিকদের ধারণা ছিলো, সূর্যগ্রহণ হচ্ছে স্রষ্টার রাগ এবং আসন্ন মৃত্যু ও ধ্বংসের পূর্বাভাস। চীনের মানুষ মনে করতো, স্বর্গীয় ড্রাগন সূর্যকে গ্রাস করে নেওয়ার ফলে সূর্যগ্রহণ হয়। ভিয়েতনামের বাসিন্দাদের ধারণা, বিশাল আকারের একটি ব্যাঙ সূর্যকে গিলে ফেলার কারণে সূর্যগ্রহণ হয়।
 ইনকা সভ্যতার লোকদের বিশ্বাস ছিল যে, একটি চিতাবাঘ চাঁদকে গ্রাস করার কারণে চন্দ্রগ্রহণ হয়। চাঁদের ওপর আক্রমণ শেষ হলে সে পৃথিবীতে নেমে এসে মানুষদের ওপর আক্রমণ করবে। তাই তারা চাঁদের দিকে বর্শা তাক করে কল্পিত এই চিতাবাঘকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করতো। এমনকি আশপাশের কুকুরদের গায়ে তারা আঘাত করতো, যাতে কুকুরের আর্তচিৎকারে ঐ চিতাবাঘ ভয় পেয়ে পালিয়ে যায় এবং পৃথিবীতে আর আক্রমণ না করে।
 চন্দ্রগ্রহণকে জড়িয়ে নানা কুসংস্কার রয়েছে যার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। পুরোটাই কুসংস্কার এবং অলিক ধারণা। যেমন, গ্রহণের সময় ঘরের বাইরে বেরোতে নেই, খাবার থাকলে তা ফেলে দিতে হয়, অন্তঃসত্বা নারীদের খুবই সাবধানে থাকতে হয়। কিন্তু গ্রহণ হচ্ছে একটি প্রাকৃতিক বিষয়। এর সঙ্গে শুভ বা অশুভয়ের কোনো পার্থক্য নেই। শনিবার আবারো স্বাভাবিক চাঁদ আকাশ আলো জোছনা ছড়াবে।
 এদিকে ইসলাম ধর্মভীরুরা চন্দ্রগ্রহণকালে সালাতুর কুসুফ পড়েন। কারণ রাসুল (সা.) গ্রহনকালে সাহাবিদের নিয়ে কুসুফ নাজাম পড়তেন। কান্নাকাটি করতেন। আল্লাহর কাছে মাফ চাইতেন। এসময় প্রিয় নবী (সা.) এর চেহারা ভয়ে বিবর্ন হয়ে যেতো।

নাজাত ফাউন্ডেশনে'র পরিচালক সভা সম্পন্ন।

স্টাফ রিপোর্টারঃ মানবতার পাশে নাজাতের আশে এই স্লোগানকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠিত সংগঠন নাজাত ফাউন্ডেশন, সিলেট, বাংলাদেশ'র পরিচালক সভা গত ২৭ জুলাই ২০১৮ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সন্ধা ০৭ ঘটিকায় ফাউন্ডেশনের অন্যতম প্রতিষ্টাতা চেয়ারম্যান ওমান প্রবাসী মোঃ কামাল আহমদের সভাপতিত্বে ও ফাউন্ডেশনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউএই প্রবাসী জনাব কাওছার আহমদের সঞ্চালনায় অনলাইনে ওডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। 

উক্ত অনলাইন সভায় বক্তব্য রাখেন নাজাত ফাউন্ডেশনের অন্যতম প্রতিষ্টাতা ও প্রচার- প্রকাশনা সম্পাদক দক্ষিন কোরিয়া প্রবাসী ছাইদুর রহমান, ফাউন্ডেশনের অন্যতম প্রতিষ্টাতা অর্থ সম্পাদক ওমান প্রবাসী হাফিজুল ইসলাম দুলু, ফাউন্ডেশনের অন্যতম পরিচালক তুর্কি প্রবাসী আমিনুল ইসলাম, ফান্ডেশনের পরিচালক মালেশিয়া প্রবাসী হাঃ বেলাল আহমদ, অন্যতম পরিচালক কাতার প্রবাসী আখলাক আহমদ,অন্যতম পরিচালক বেলজিয়াম প্রবাসী মারুফ আহমদ( মাহিন)প্রমুখ।

সভায় পরিচালকদের  মতামতের ভিত্তিতে বিভিন্ন সিদ্বান্ত গ্রহন করা হয়।
পরিশেষে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোঃ কামাল আহমদের সমাপনী বক্তব্য ও দোয়ার মাধ্যমে  সভার সমাপ্তি হয়।


--- বিজ্ঞপ্তি--

Wednesday 25 July 2018

ওসমানী মেডিকেলের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার মীমাংসার জন্য অনুরোধ।


স্টাফ রিপোর্টার ঃএদিকে ঘটনার পর থেকে ধর্ষণের শিকার হওয়া কিশোরীর বাবাকে বিষয়টি মীমাংসা করে নিতে অভিযুক্তের পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার যোগাযোগ করছে বলে দাবি করছেন কিশোরীর স্বজনরা। এদিকে, মঙ্গলবার সিওমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার এ কে এম মাহবুবুল হক বরাবর ধর্ষণের অভিযোগে তদন্তের সময় বৃদ্ধির আবেদন করে আরও ১৫ দিনের সময় চেয়েছে তদন্ত কমিটি।

ধর্ষণের সত্যতার ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকবর বলেন, ওসিসি থেকে ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্টে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া গেছে।
তবে বিষয়টি আবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য সিআইডির ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টে পাঠানো হবে ২/১ দিনের মধ্যেই। এছাড়া ভিকটিম এবং সেই ইন্টার্ন চিকিৎসকের ডিএনএ স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান এসআই আকবর।

মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে আকবর বলেন, পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছে। ইতোমধ্যে ভিকটিম আদালতে ২২ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে ঘটনা বর্ণনা করেছে। সিআইডি থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পর পুলিশ বিষয়টি নিয়ে আরও এগিয়ে যাবে।

তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির প্রধান হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগীয় প্রধান এন.কে. সিনহা বলেন, যেহেতু অভিযুক্ত এখন কারাগারে আছেন তাই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের অনুমতি লাগবে। এছাড়া ভিকটিমকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। আর এতে আরও কিছু সময় প্রয়োজন। তাই তদন্তের সময় বৃদ্ধির আবেদন করা হয়েছে।

মীমাংসার ব্যাপারে মেয়েটির বাবা বলেন, ঘটনাটি মীমাংসা করার জন্য চিকিৎসক মাহির পরিবার আমাদের সঙ্গে বসার জন্য অনেকবার অনুরোধ জানিয়েছে। এমনকি তারা সিলেটের প্রভাবশালী কয়েকজনের কাছে গিয়ে এ বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য চাপ দিচ্ছে। তারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলেও আমি তাদের প্রস্তাবে রাজি হননি বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুলাই রাত দেড়টার দিকে ওসমানী মেডিকেলের নাক-কান-গলা বিভাগের ইন্টার্ন চিকিৎসক মাকামে মাহমুদ মাহি নবম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে (১৪) ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। মেয়েটি তার নানির সঙ্গে হাসপাতালে ছিল। ফাইল দেখার কথা বলে মাহি মেয়েটিকে তার রুমে নিয়ে যান বলে অভিযোগ করে তার পরিবার।

ঘটনার পরদিন ১৬ জুলাই ধর্ষণের অভিযোগে মাহিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই দিনই মেয়ের বাবা কোতোয়ালি থানায় মাহির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।
ইন্টার্ন চিকিৎসক মাকামে মাহমুদ ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার মোখলেছুর রহমানের ছেলে। তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেলের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। অনুরোধ

জকিগঞ্জে ৩৭৫ বোতল ফেন্সিডিল সহ মদক ব্যবসায়ী আটক

স্টাফ রিপোর্টারঃ জকিগঞ্জ সুলতানপুর ইউপির অজরগ্রাম থেকে ৩৭৫ বোতল ফেন্সিডিল সহ ২ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে জকিগঞ্জ থানাপুলিশ। সোমবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে জকিগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার সৈয়দ ইমরোজ তারেকের নেতৃত্বে অজরপাড়া এফ আইভিডিবি স্কুলের সামনে থেকে তাদের কে গ্রেফতার করা হয়। আটককৃতরা হলো সেনাপতির চক গ্রামের মোঃ সবুজ (৩৬) ও মোঃ নজরুল ইসলাম (৩৬)। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের শেষে আজ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চালান দেওয়া হয়। বিজ্ঞ আদালতের বিচারক তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন ।

জকিগঞ্জ নারী উন্নয়ন ফোরামের নির্বাচন সম্পন্ন। ফলাফল প্রকাশ ,বর্তমানে স্থগিত।

স্টাফ রিপোর্টারঃ জকিগঞ্জে নারী উন্নয়ন ফোরামের নির্বাচনে কোষাধ্যক্ষ পদে দুজন প্রার্থীর ভোট সমান সমান হওয়ায় ফলাফল শুধুমাত্র কোষাধ্যক্ষ পদের ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার উপজেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের নির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
ভোটগ্রহণ শেষে কোষাধ্যক্ষ পদে সালেহা বেগম ও জাহানারা বেগম সমান সমান ভোট পান। পরে উপজেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াহইয়া বেগম অতিরিক্ত একটি ভোট দিয়ে জাহানারা বেগমকে বিজয়ী ঘোষণা করতে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে সুপারিশ করেন। লটারী বা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মতামত ছাড়াই উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াহইয়িা বেগম জাহানারা বেগমকে বিজয়ী ঘোষণা করতে সুপারিশ করার ঘটনায় তাৎক্ষণিক আপত্তি জানান অপর প্রার্থী ছালেহা বেগম। সালেহা বেগমের আপত্তির কারণে মঙ্গলবার প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালনকারী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার শুধুমাত্র কোষাধ্যক্ষ পদের ফলাফল স্থগিত ঘোষণা করে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, অনিবার্য কারণবশত উপজেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের কোষাধ্যক্ষ পদের ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। কোষাধ্যক্ষ পদের ফলাফল চূড়ান্ত করতে বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটায় উপজেলা পরিষদে সকল ভোটারদেরকে উপস্থিত থাকার আহবানও করেছেন তিনি বিজ্ঞপ্তিতে।
নারী উন্নয়ন ফোরামের নির্বাচনে পদাধিকারে সভাপতি হয়েছেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াহইয়া বেগম। ভোটের মাধ্যমে সহ সভাপতি পদে সুনন্দা শুক্লা পেয়েছেন ২৩ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হোসনে জাহান রীনা পেয়েছেন ১৬ ভোট, সাধারণ সম্পাদক পদে জোসনা খানম ২৬ ভোট পান, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রোশনা বেগম রফা পেয়েছেন ৯ ভোট, পারভীন সুলতানা পারুল পেয়েছেন ৪ ভোট, কোষাধ্যক্ষ পদে ছালেহা বেগম ১৩ ভোট, জাহানারা বেগম ১৩ ভোট, রুমা রানী পাল ১১ ভোট, চন্দনী রানী দেব ৪ ভোট, সদস্য ২ ও ৩ নং পদে কনিকা রায় পেয়েছে ২২ ভোট, রুমি বেগম ১৫ ভোট ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফাতেমা আক্তার ৩ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সুফিয়া বেগম জানান, ভোট গ্রহণ শেষে কোষাধ্যক্ষ পদে জাহানারা বেগম ও ছালেহা বেগম ১৩ টি করে সমান সমান ভোট পেয়েছেন। এরপর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াহইয়া বেগম নিজের পছন্দ অনুযায়ী জাহানারা বেগমের প্রতিকে একটি অতিরিক্ত ভোট বাড়িয়ে ১৪ ভোট দেখিয়ে বিজয়ী ঘোষণা করতে প্রস্তাব করেন। কিন্তু মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াহইয়া বেগম যে ভোটটি বাড়িয়েছেন সেটি উনার অতিরিক্ত ভোট।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অপর সদস্য হাজেরা বেগম বলেন, নির্বাচনে কোষাধ্যক্ষ পদে দুই প্রার্থীর ভোট সমান সমান হওয়ায় উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াহইয়া বেগম তার ভোট ছাড়াও অতিরিক্ত একটি ভোট প্রয়োগ করেছেন। এ ভোট প্রয়োগের বিষয়ে তিনি আমাদের সাথে কোন আলোচনা করেননি। এ নিয়ে অপর প্রার্থী জাহানারা বেগম আপত্তি জানিয়েছেন। বুধবার প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শুধু এ পদের ফলাফল স্থগিত ঘোষণা করেছেন।
উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি ইয়াহইয়া বেগম বলেন, নারী উন্নয়ন ফোরামের নীতিমালায় উল্লেখ রয়েছে কোন পদে সমান সমান ভোট হলে নারী উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি অতিরিক্ত একটি ভোট প্রদান করতে পারবেন। তাই আমি অতিরিক্ত একটি ভোট প্রয়োগ করেছি। এতে ছালেহা বেগম আপত্তি জানিয়েছেন। জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার আমি প্রিসাইডিং অফিসারকে বলেছি, কোষাধ্যক্ষ পদের জটিলতা নিরসন করতে প্রিসাইডিং অফিসার ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটি যে সিদ্ধান্ত দিবেন আমি সেটা মেনে নেব।
প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালনকারী জকিগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জ্যাসমিন আক্তার জানিয়েছেন, ভোট গণনা শেষে কোষাধ্যক্ষ পদে ছালেহা বেগম ও জাহানারা বেগম সমান সমান ভোট পেয়েছেন। পরে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াহইয়া বেগম জাহানারা বেগমকে বিজয়ী ঘোষণা করতে একটি অতিরিক্ত ভোট প্রয়োগ করে মতামত দেন। এতে অপর প্রার্থী ছালেহা বেগম আপত্তি জানান। যেহেতু মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের মতামতকে অপর প্রার্থী মেনে নেননি তাই মঙ্গলবার কোষাধ্যক্ষ পদের ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিষয়টি ভোটারদের উপস্থিতিতে নির্বাচন পরিচালনা কমিটিকে নিয়ে সমাধান করা হবে।

নিরুপায় হয়ে পা হারালেন আব্দুল কাদির।

জসীম উদ্দীন: জকিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সুলতানপুর ইউপি বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মো: আব্দুল কাদির মুমূর্ষ অবস্থায় সিলেট ওসমানি মেডেকেল কলেজ হাসপাতালে ৮জুলাই ভর্তি হোন। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা পরিক্ষা-নিরিক্ষ করে তার ডান পায়ে গুরুতররোগ সনাক্তকরে। যার ধরুণ চিকিৎসকরা তার ডান পা হাটু পর্যন্ত কেটে ফেলার সিদ্ধান্তে উপনীত হয়। ২২জুলাই রাত ১০টায় সফল ভাবে অপারেশন করেন চিকিৎসকরা।

দেখতে যান ইউপি সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল আহমদ জকিগঞ্জ-কানাইঘাটের ডাককে যানান: অসুস্ত আব্দুল কাদির তাকে বলেন যে, আমার রাজনীতির কোন সাথী এখন পর্যন্ত আমাকে দেখতে আসেনি এই কথা বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। হেলাল বলেন ব্যস্ততার জন্য আসতে পারেননি কিন্তু সবাই আপনার জন্য দোয়া করছেন। শিগ্রই আল্লাহর আপনাকে সুস্থ্য দান করে দিবেন আমরা দোয়া করি।
বর্তমানে আব্দুল কাদির ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩য় তলার ৯নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তি

জকিগঞ্জ অনলাইন নিউজ

ভয়ংকর নারী প্রতারক জাহেদা আক্তার পপি আটক

স্টাফ রিপোর্টারঃ   জকিগঞ্জে সুলতানপুর ইউনিয়নের বাদেজমা গ্রাম থেকে স্থানীয়রা এক ভয়ংকর নারী প্রতারককে আটক করে মঙ্গলবার পুলিশের কাছে সোপর্দ ক...